AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বয়স মাত্র ১৮, সারা দিন খাওয়া হয়নি, চায়ের দোকানে কে খাওয়াতেন বুম্বাকে?

চারপাশে এমন সব মানুষের মধ্যে বড় হয়েছেন বলেই, মাটিতে পা রেখে চলতে শিখেছেন, এমনটা বললেন তারকা। তাঁর কথা, সারাক্ষণ যাঁরা ভালো-ভালো কথা বলে তাঁকে মাথায় করে রাখবেন, এমন মানুষ নিয়ে ঘুরতে পছন্দ করেন না তিনি। বরং কোনও ব্যাপারে যুক্তিসঙ্গত সমালোচনা শুনতে তাঁর ভালোলাগে।

বয়স মাত্র ১৮, সারা দিন খাওয়া হয়নি, চায়ের দোকানে কে খাওয়াতেন বুম্বাকে?
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2025 | 7:34 AM
Share

সম্প্রতি একটা পডকাস্টে প্রসেনজিত্‍ চট্টোপাধ্যায় নিজে মুখে যে সত্যি সামনে আনলেন, তা শুনে চোখে জল আসবে তাঁর অনুরাগীদের। আজকে তিনি বাংলার সুপারস্টার, দেশের অন্যতম নামী নাম। প্রসেনজিতের বাবা বিশ্বজিত্‍ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন অত্যন্ত নামী অভিনেতা। তাই অনেকে মনে করেন, টলিপাড়ার বুম্বাকে তেমন স্ট্রাগল করতে হয়নি। কিন্তু কী ভয়ঙ্কর লড়াই করে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন প্রসেনজিত্‍, তা জানলে অবাক হতে হয়।

একটা সময় ছিল যখন বিশ্বজিতের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন প্রসেনজিত্‍ আর তাঁর মা। সেই কারণে স্টুডিয়োপাড়ায় বুম্বাকে স্ট্রাগল করতে হয়েছে আর পাঁচজনের মতোই। প্রসেনজিতের কথায়, ”তখন আমার ১৮ বছর বয়স। স্ট্রাগল করা শুরু করেছি। সারা দিন খাওয়া হতো না। স্টুডিয়োর বাইরে যে চায়ের দোকানটা ছিল, সেখানে যিনি থাকতেন, আমাকে দেখে বুঝে যেতেন, খাওয়া হয়নি। বলতেন, ”আমি বাড়ি থেকে যে খাবার নিয়ে এসেছি, তার অর্ধেক তুমি খাও।” সেই সময়ে স্টুডিয়োতে চারপাশে আমার বাবার বন্ধুরা ছিলেন। তাঁদের থেকে এরকম কথা আমি শুনিনি। বরং চায়ের দোকানের ওই মানুষটা আমাকে খাওয়াতেন। এই ঋণ আমি কী করে শোধ করব?”

চারপাশে এমন সব মানুষের মধ্যে বড় হয়েছেন বলেই, মাটিতে পা রেখে চলতে শিখেছেন, এমনটা বললেন তারকা। তাঁর কথা, সারাক্ষণ যাঁরা ভালো-ভালো কথা বলে তাঁকে মাথায় করে রাখবেন, এমন মানুষ নিয়ে ঘুরতে পছন্দ করেন না তিনি। বরং কোনও ব্যাপারে যুক্তিসঙ্গত সমালোচনা শুনতে তাঁর ভালোলাগে। প্রসেনজিতের জীবনের চায়ের দোকানের এই গল্পটি এখন বেশ চর্চিত হচ্ছে।