RG Kar Case: ‘আমার একটা মেয়ে আছে’, কটাক্ষের মুখে প্রতিবাদে সুর চড়ালেন ঋতুপর্ণা

Rituparna Sengupta: লক্ষ্য থেকে সরে গেলে হবে না, এখন কে কী করছে, তার থেকেও বেশি জরুরী কে কীভাবে এই আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছে, পাশে থাকছে। তিনিও সেটাই চান। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ পোস্ট করে নিজের মনের কথা উজার করে দিলেন অভিনেত্রী। 

RG Kar Case: 'আমার একটা মেয়ে আছে', কটাক্ষের মুখে প্রতিবাদে সুর চড়ালেন ঋতুপর্ণা
Follow Us:
| Updated on: Aug 19, 2024 | 7:09 PM

আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ জানিয়ে একে একে পথে নেমেছেন সকলেই। তালিকা থেকে বাদ না পড়া টলিপাড়া সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে রাজপথে চিৎকার করে তিলোত্তমার বিচার চাইছে। ১৪ অগস্ট রাত দখলের ডাকে সামিল থাকতে পারেননি হয়তো অনেকেই। কিন্তু সকলের আর্জি মেনে শঙ্খ বাজিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন এই পদক্ষেপকে। একই ভাবে পাশে থেকেছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তিনি বিদেশে। তাই পায়ে পা মিলিয়ে পথ চলতে পারছেন না তিনি। তবে শঙ্খ বাজিয়ে যথন সমর্থন করলেন, ঠিক সেই সময়ই নেটপাড়ায় উঠে এল অন্য ছবি। ভরল মিমে। শঙ্খ বাজানোর ধরন নিয়ে রীতিমত কটাক্ষের মুখে পড়তে হল তাঁকে। কিন্তু এটা কি আদপে কটাক্ষ করার সময়! এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ অভিনেত্রী। লক্ষ্য থেকে সরে গেলে হবে না, এখন কে কী করছে, তার থেকেও বেশি জরুরী কে কীভাবে এই আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছে, পাশে থাকছে। তিনিও সেটাই চান। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ পোস্ট করে নিজের মনের কথা উজার করে দিলেন অভিনেত্রী।

ঠিক কী লেখা সেই পোস্টে? 

”কলকাতা বা সারা বিশ্বে বসে আমাদের সকলকে আলোড়িত করেছে এমন একটি ট্র্যাজেডিকে কেন্দ্র করে শঙ্খ বাজানোয় কোনও নাটক হতে পারে না। এই অপরাধের নৃশংসতা মেরুদন্ডে ঠাণ্ডা স্রোত বইয়ে দেয়। তা আপনার হোক বা আমার। বাড়িতে আমার নিজের একটা মেয়ে আছে। তাই যদি কেউ মনে করেন, যে আমার কান্না ভেজা চোখে, মেকআপ না করা লুকে শঙ্খে ফুঁ দেওয়া নাটক ছিল, তাঁদের অবশ্যই জানা উচিত যে আমাদের সমাজে এই ধরনের নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর এটাই আমার পদক্ষেপ ছিল। যাঁরা মনে করে যে, তাঁরা সহজেই পালিয়ে যেতে পারেন এবং এই প্রতিবাদগুলি শেষ পর্যন্ত হারিয়ে যাবে, আমি নিশ্চিত এইবার, আমরা এটাকে আর নীরবে নিভে যেতে দেব না। আমরা এখন যুদ্ধের পথে যাব।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যুদ্ধ শুরু করার সময় এবং শেষ করার জন্য শঙ্খ বাজাতেন। আমি একজন পেশাদার শঙ্খ বাদক নাও হতে পারি, এবং হ্যাঁ, আমি এটি বাজাতে পারফেক্ট নাও হতে পারি। আমার উদ্দেশ্য ছিল কেবল কথায় নয় বরং কর্মের মাধ্যমে বলা যে এটা সত্যি একটা যুদ্ধ। ন্যায়বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তায় নামব।

আমার কলকাতা তোমাদের সকলকে নিয়ে গঠিত, আমি এখানে আছি কারণ আপনারা ওখানে আছেন। ন্যায়বিচারের জন্য যুদ্ধের সময়, আমরা অন্য কোনও মহিলাকে নিয়ে উপহাস না করি। নারী হিসাবে, আমরা একসঙ্গে এই লড়াই লড়ব, আমরা কাউকে ছাড় দেব না। আমাদের চিৎকারে হবে ন্যায়বিচার হবে।’

‘এই সময়, আমরা মনোবল হারাবো! আমি আর ভিড়ের মুখ নই, আমি বিচারের দাবিদার এক নাগরিক। দেশের বাইরে থাকায় আমি শিল্পী ফোরামের প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিতে পারছি না, কিন্তু হৃদয়ে আজ উপস্থিত থাকব, প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী কণ্ঠের সঙ্গে! আমরা ন্যায়বিচার চাই যতক্ষণ না আমরা তা পাব ..আমরা লড়াই করব!!”