পরমব্রত সরব হতেই মুখ খুললেন রুদ্রনীল
Parambrata-Rudranil: প্রেসিডেন্সি কলেজের ডাকা রাজ্য ও রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই আরও একবার সরকারকে তার অবস্থান বুঝিয়ে দিতে পিছপা হলেন না তিনি।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, আরজি কর কাণ্ডে যিনি প্রতিবাদের সুর তুলেছেন। পথে নেমেছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিচার চেয়ে আওয়াজ তুলেছেন। তিনি আরও একবার রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন কড়া ভাষায়। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, মানুষকে টেকেন ফর গ্রান্টেড হিসেবে ধরে নেওয়াটা উচিত নয়। ১৮ সেপ্টেম্বর, বুধবার, প্রেসিডেন্সি কলেজের ডাকা রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই আরও একবার সরকারকে তার অবস্থান বুঝিয়ে দিতে পিছপা হলেন না তিনি।
সাধারণের ক্ষমতা, নির্বাচণ প্রসঙ্গ টেনে এদিন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এ কথা অনস্বীকার্য কম-বেশি লোকে মনে করেছেন যে হ্যাঁ, আমরা এদের (অন্যান্য দলের তুলনায় ) থেকে এদেরকে (তৃণমূল) বেশি এগিয়ে রাখব। গত একমাস বা দেড় মাস ধরে যে আন্দোলন চলেছে, প্রতিবাদ গড়ে উঠেছে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, সেই শাসক দল, যা এঁদেরই ভোটে-এঁদেরই গড়া, এঁদের ভরসার ভিত্তিতে বারবার ক্ষমতায় এসেছে বলে, সেটাকে টেকেন ফর গ্রান্টেড করা যাবে না। ক্ষমতায় আসার পর অ্যাকাউন্টেবল হতে হবে। বারবার আপনাদের সাধারণ মানুষ অন্য দলের তুলনায় এগিয়ে রেখেছে বলে, বছরের পর বছর ধরে মানুষকে টেকেন ফর গ্রান্টেড ভেবে নেবেন না।’
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, যাঁকে অতীতে কখনও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সওয়াল করতে দেখা যায়নি, তাঁর মুখে এই কথা শুনে প্রতিবাদ শুনে বেজায় খুশি তাঁর ইন্ডাস্ট্রির বন্ধু রুদ্রনীল ঘোষ। TV9 বাংলা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে রুদ্রনীল বলেন, ‘কেউ আগে বুঝেছে, কেউ দেরিতে। যখন আগুন লাগে, মানুষ তখন হয়তো গা করেন না। ভাবে যাঁর যাবে তাঁর যাক। কিন্তু সেই আগুনে যখন সময়ের হাওয়া লাগে, তখন কার ঘর যে পুড়বে, বোঝা দায়। কেউ বিবেকের দংশনে মুখ খুলছেন, কেউ ইমেজ বাঁচাতে পথে নামছেন। পরম বরাবরই আমার খুব ভাল বন্ধু। যখন আমি ইন্ডাস্ট্রিতে কোণঠাসা, রাজনীতির রঙ লেগেছে গায়ে, সেই সময় হাতেগোনা যে ক’জন মানুষ আমায় সাহস করে কাজ দিয়েছেন, পরম তাঁদের মধ্যে একজন। আসলে ইচ্ছে থাকলেও নেওয়া যায় না। এই রাজ্য সরকারের নজরদারিতেই তো সব হয়। কোথাও শুটিং করতে গেলে অনুমতি পাবে না তো। তা হলে কী উপায়! যাই হোক, পরমের কথাগুলো ভাল। তবে ওকে বন্ধু হয়ে বলতে চাই, মানুষের ভোটে রাজনৈতিক দলটা এগিয়ে আছে কি না ভেবে দেখুক। কারণ ছাপ্পা বলেও একটা বিষয় আছে। ও বুদ্ধিমান, খতিয়ে ভাবলে হয়তো বুঝতে পারবে এবং আমার বিশ্বাস আরও দৃঢ় বার্তা দিতে পারবে’।