লোনাভালায় ভূত! গা শিরশির করে ওঠে রুদ্রনীলের, তারপর কী হল?
শুধু এই নন-ফিকশনের সেটেই যে এমন হয়েছে তা নয়, অভিনতা সোহম চক্রবর্তী ভূতের অস্তিত্ব টের পেয়েছিলেন একবার একটা শুটিং করতে গিয়ে, একটা বিশেষ হোটেলে। ভূত আছে কী নেই, এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলতে থাকে টলিপাড়ার অন্দরেও। তবে যাঁরা ভূতের অস্তিত্ব টের পাচ্ছেন, তাঁদের কথা উড়িয়ে দিতে চান না, সহকর্মীরা।

কয়েক দিন আগে অভিনতা রণজয় বিষ্ণুর বাড়িতে ভৌতিক সব কাণ্ড ঘটেছে। কখনও গাছ ভেঙে পড়ে থাকছে। মানে টের পাওয়া যাচ্ছে কারও অস্তিত্ব। ভূত নিয়ে তদন্ত করতে বিশেষ টিম গিয়েছিল রণজয়ের বাড়িতে। এই ঘটনা দেখেই বোঝা গেল, ভূত বলে যে কিছু থাকতে পারে, তা বিশ্বাস করেন অভিনেতা।
এবার অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ একটা সাক্ষাত্কারে স্বীকার করে নিলেন, ভূতের অস্তিত্ব তিনি টের পেয়েছেন। রুদ্রনীলের কথায়, ”আমি বুঝতে পারি ওরা আছে। গা শিরশির করে আমার। তবে আমি যে খুব ভয় পাই সেটা নয়।” রুদ্রনীল যোগ করলেন, ”’বিগ বস বাংলা’-র শুটিং হতো লোনাভালায়। সেখানে আমাদের চোখ বেঁধে নিয়ে গিয়ে সেটে প্রবেশ করতে বলা হতো। কোন রাস্তা দিয়ে, কীসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, বোঝা যেত না। সেখানে পৌঁছে আমি এরকম কিছু অনুভব করেছিলাম। একদিন কনীনিকা (বন্দ্যোপাধ্যায়) দেখলাম, কথা বলছে। আমি প্রশ্ন করলাম, ”এখানে আছে না? কনীনিকা বলল, ”হ্যাঁ, আছে।”
রুদ্রনীল বললেন, ”ওখান থেকে ফেরার সময়ে আমি খোঁজ নিয়েছিলাম। বেশ কিছু মানুষকে খুন করে ওখানে ফেলে দেওয়া হয়েছিল অতীতে। লোনাভালার ইতিহাস ওটা। পরবর্তীকালে সেখানে স্টুডিয়ো তৈরি করা হয়েছে।” শুধু এই নন-ফিকশনের সেটেই যে এমন হয়েছে তা নয়, অভিনতা সোহম চক্রবর্তী ভূতের অস্তিত্ব টের পেয়েছিলেন একবার একটা শুটিং করতে গিয়ে, একটা বিশেষ হোটেলে। ভূত আছে কী নেই, এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলতে থাকে টলিপাড়ার অন্দরেও। তবে যাঁরা ভূতের অস্তিত্ব টের পাচ্ছেন, তাঁদের কথা উড়িয়ে দিতে চান না, সহকর্মীরা।
