‘ধর্মেন্দ্র সঙ্গে ছবি করতেই সব শেষ’, টাকা বাঁচাতে ১৫ কিলোমিটার হাঁটতেন রূপালি
Rupali Ganguly: ২০১৫-এ তাঁদের একমাত্র সন্তান রুদ্রাংশের জন্ম হয়। সন্তানের জন্মের পর সংসার, সন্তান ছিল তাঁর প্রায়োরিটি। ছেলে একটু বড় হওয়ার পর ফের কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন রূপালি। সাত বছর পরে ‘অন্নপূর্ণা’ই রূপালির কামব্যাক শো।
রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়। হিন্দি টেলিভিশনের পরিচিত মুখ। পাশাপাশি স্টারকিডও বটে। তাঁর বাবা দীর্ঘদিন ধরে সিনেদুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত। জনপ্রিয় পরিচালক অনিল গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ে তিনি। তবে একটা সময় একের পর এক ফ্লপ ছবির জন্য রীতিমত আর্থিক সংকটে পড়তে হয়েছিল অনিল গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারকে। ১৯৯১ সালে ধর্মেন্দ্রর ছবি দুষমন দেবতা ছবি মুখ থুবড়ে পড়ে। তাতেই মোটা টাকা আটকে যায় পরিচালকের। তখন থেকেই কঠিন লড়াই শুরু অভিনেত্রীর। ব্যক্তিগত জীবনে ২০১৩-এ অশ্বিনকে বিয়ে করেন রূপালি। ২০১৫-এ তাঁদের একমাত্র সন্তান রুদ্রাংশের জন্ম হয়। সন্তানের জন্মের পর সংসার, সন্তান ছিল তাঁর প্রায়োরিটি। ছেলে একটু বড় হওয়ার পর ফের কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন রূপালি। সাত বছর পরে ‘অন্নপূর্ণা’ই রূপালির কামব্যাক শো।
মাঝে সাত বছর তিনি ক্যামেরা থেকে দূরে ছিলেন। তবে কেরিয়ার শুরুতে যে কষ্টের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি, তা আজও ভোলার নয়। একাধিকবার সাক্ষাৎকারে রূপালিকে বলতে শোনা গিয়েছে, সামান্য অর্থ বাঁচাতে ঠিক কতটা কষ্ট সহ্য করতেন তিনি। তবুও ছিলেন মাটি কামড়ে পড়ে থাকতেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ”আমি ওরলি থেকে পৃথ্বী থিয়েটার পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার হাঁটতাম। কারণ বাবার ছবি ফ্লপ ছিল, আমার সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। সব কিছু বিক্রি করে দিতে হয়েছিল। বাবার সুগার ধরা পড়ে, অতিরিক্ত চিন্তার কারণে। পাশাপাশি এমন অনেক কিছুই ঘটছিল যা ঘটার কথা ছিল না। আমরা আমাদের সমস্ত টাকা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তখন সময়টাই এমন ছিল, যে পরিচালকেরা নিজেদের টাকা দিয়ে ছবি বানাতেন। নিজের সমস্ত সম্পত্তি বন্দক রেখে বানাতেন। ফলে সময়টা ভীষণ কঠিন ছিল।”