ভাইজানের নামে অভিযোগ? পরিচালককে পাল্টা একহাত নিলেন সলমন
সিকন্দর-এর বক্স অফিস আয় বেশ হতাশাজনক। ২০০ কোটি টাকার বাজেটে নির্মিত এই সিনেমা বিশ্বব্যাপী আয় করেছে মাত্র ১৮৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে, সলমনের মন্তব্য যেমন বিতর্ক উস্কে দিয়েছে, তেমনি এও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে—বক্স অফিসে ব্যর্থতা থাকলেও আত্মবিশ্বাসে এতটুকু চিড় ধরেনি ভাইজানের।

বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে সলমন খান অভিনীত বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘সিকন্দর’। যদিও এই ছবি নিয়ে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই ভাইজানের, তা তিনি একাধিকবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তবে সিনেমা মুক্তির পরপরই পরিচালক এ আর মুরুগাদোস সলমনের বিরুদ্ধে শ্যুটিংয়ে দেরি করে আসার অভিযোগ তোলেন, আর তাতেই এবার মুখ খুললেন ভাইজান। বিগ বস ১৯-এর ‘উইকেন্ড কা বার’ পর্বে মজার ছলে হলেও সরাসরি এূার পরিচালককে উত্তর দিলেন তিনি।
এই পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন কমেডিয়ান রবি গুপ্তা। তিনি সলমনকে প্রশ্ন করেন, এমন কোনও সিনেমা আছে কি না, যেটায় কাজ করে তিনি অনুশোচনা করেন। সলমন প্রথমে তাঁর করা এক পুরোনো ছবি ‘সূর্যবংশী’-র নাম করেন। রবি এরপর সাম্প্রতিক সময়ের কোনও সিনেমার কথা জানতে চাইলে সলমন বলেন, “নতুন কিছু নয়। অনেকে বলে সিকন্দর, কিন্তু আমি তা মনে করি না। ওর গল্পটা দুর্দান্ত ছিল।”
এরপরেই মজার ছলে শুরু হয় সলমনের পরোক্ষ ব্যঙ্গ। তিনি বলেন, “আসলে আমি রাত ৯টায় সেটে যেতাম বলেই সব গড়বড়! এখন উনি (মুরুগাদোস) যে তারকার সঙ্গে কাজ করছেন, তিনি নাকি ঠিক ৬টায় সেটে পৌঁছে যান।”
সলমন আরও বলেন, “শুরুতে এই প্রোজেক্ট ছিল সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা আর মুরুগাদোসের। সাজিদ প্রথমে ‘পালাল’, তারপর মুরুগাদোসও দক্ষিণে চলে গেলেন ছবি বানাতে।”
প্রসঙ্গত, সিকন্দর ব্যর্থ হওয়ার পর মুরুগাদোস বানান ‘মাদরাসি’, কিন্তু সেটিও বক্স অফিসে সফল হয়নি। তা নিয়েও খোঁটা দিতে ছাড়েননি সলমন। হাসতে হাসতে বলেন, “মাদরাসি বলে একটা ছবি বেরিয়েছে, সেটাও তো খুব বড় হিট… সিকন্দর-এর থেকেও!” প্রসঙ্গত, এর আগে এক সাক্ষাৎকারে মুরুগাদোস বলেছিলেন, “সলমন রাতে আসতেন, তাই দিনের দৃশ্যও আমাদের রাতেই শ্যুট করতে হতো। এমনকী শিশুশিল্পীদের রাত ২টো পর্যন্ত শ্যুট করতে হতো, তারা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ত।”
অন্যদিকে, সিকন্দর-এর বক্স অফিস আয় বেশ হতাশাজনক। ২০০ কোটি টাকার বাজেটে নির্মিত এই সিনেমা বিশ্বব্যাপী আয় করেছে মাত্র ১৮৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে, সলমনের মন্তব্য যেমন বিতর্ক উস্কে দিয়েছে, তেমনি এও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে—বক্স অফিসে ব্যর্থতা থাকলেও আত্মবিশ্বাসে এতটুকু চিড় ধরেনি ভাইজানের।
