শত্রুঘ্ন সিনহাকে অপমান! মুকেশ খন্নাকে তুলোধনা সোনাক্ষীর
Sonakshi Sinha: রেগে আগুন সোনাক্ষী সিনহা। বাবা শত্রুঘ্ন সিনহার অপমানের কড়া জবাব দিলেন নায়িকা। ক্যামেরার সামনে সচরাচর তাঁকে রাগতে বা মেজাজ হারাতে দেখা যায়নি। সব সময় হাসিমুখেই দেখা গিয়েছে। কিন্তু আর নিজের ধৈর্য ঠিক রাখতে পারলেন না অভিনেত্রী। আচমকা কী এমন ঘটল?
রেগে আগুন সোনাক্ষী সিনহা। বাবা শত্রুঘ্ন সিনহার অপমানের কড়া জবাব দিলেন নায়িকা। ক্যামেরার সামনে সচরাচর তাঁকে রাগতে বা মেজাজ হারাতে দেখা যায়নি। সব সময় হাসিমুখেই দেখা গিয়েছে। কিন্তু আর নিজের ধৈর্য ঠিক রাখতে পারলেন না অভিনেত্রী। আচমকা কী এমন ঘটল? আগে বেশ কয়েকবার অভিনেতা মুকেশ খন্না প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন শত্রুঘ্ন এবং সোনাক্ষীর। কিন্তু কোনও দিনই তাঁকে কোনও উত্তর দেয়নি সিনহা পরিবারের কেউ। ২০১৯ সালে ‘কৌন বনেগা ক্রোড় পতি’র মঞ্চে গিয়েছিলেন নায়িকা। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে হনুমান কার জন্য সঞ্জীবনী বুটি এসেছিলেন রামায়ণে? সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি নায়িকা। তা শোনা পরেই এক সাক্ষাত্কারে মুকেশ শত্রুঘ্নর শিক্ষার সমালোচনা করেন। প্রকাশ্যে বাবার অপমান আর সহ্য করে থাকতে পারেননি নায়িকা।
তাই নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে অভিনেত্রী লেখেন, “প্রিয়, মুকেশ খান্নাজি স্যর… আমি সম্প্রতি আপনার একটি বিবৃতি পড়েছি যেখানে বলা হয়েছে যে এটি আমার বাবার দোষ, আমি বহু, বহু বছর আগে একটি অনুষ্ঠানে রামায়ণ সম্পর্কে কোনও প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিইনি। প্রথমত, আমি আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে সেদিন হট সিটে দু’জন মহিলা ছিলেন যারা একই প্রশ্নের উত্তর জানতেন না, তবে আপনি আমার নাম এবং কেবল আমার নামই গ্রহণ করতে পছন্দ করেছেন, কারণটাও বেশ স্পষ্ট।”
নায়িকা আরও লেখেন, “‘হ্যাঁ স্বাভাবিক মানবিক প্রবণতা থেকেই সেদিন আমি ব্ল্যাক আউট হয়ে গিয়েছিলাম যে সঞ্জীবনী বুটি কার জন্য আনা হয়েছিল, কিন্তু স্পষ্টতই, আপনি স্বয়ং ভগবান রামের শেখানো ক্ষমা এবং ভুলে যাওয়ার যে শিক্ষা তা ভুলে গিয়েছেন। ভগবান রাম যদি মন্থরাকে ক্ষমা করতে পারেন, যদি তিনি কৈকেয়ীকে ক্ষমা করতে পারেন… মহাযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর যদি তিনি রাবণকেও ক্ষমা করতে পারেন, তাহলে নিশ্চয়ই আপনি সেই তুলনায় এই অতি ক্ষুদ্র জিনিসটিকে ক্ষমা করতে পারেন… আমি আপনার ক্ষমা চাই না। তবে হ্যাঁ, আমি অবশ্যই চাই আপনি এই ঘটনাটা এবার অন্তত ভুলে যান। এবং একই ঘটনা বারবার সামনে আনা বন্ধ করুন যাতে আমার ও আমার পরিবারকে কাজে লাগিয়ে আপনি খবরে আসতে পারেন।”