‘ট্রোল হওয়ার ভয়ে কেউ কার্নিভালে না গেলে, বুঝব তাঁর…’ ঝাঁঝালো সৌমিতৃষা
Soumitrisha Kundu: প্রতি বছরের মতো রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে হচ্ছে পুজোর কার্নিভাল । অন্য দিকে একই সময় রানি রাসমনি রোডে জুনিয়র চিকিত্সকদের উদ্যোগে হওয়ার কথা দ্রোহ কার্নিভাল। এ দিন যে কিছুটা হলেও শহরের পরিবেশ উত্তপ্ত থাকবে তা কিছুটা আন্দাজ করা গিয়েছিল দিনের শুরুতেই। দুর্গাপুজো কার্নিভাল প্রসঙ্গে কী বললেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু?
প্রতি বছরের মতো রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে হচ্ছে পুজোর কার্নিভাল । অন্য দিকে একই সময় রানি রাসমনি রোডে জুনিয়র চিকিত্সকদের উদ্যোগে হওয়ার কথা দ্রোহ কার্নিভাল। এ দিন যে কিছুটা হলেও শহরের পরিবেশ উত্তপ্ত থাকবে তা কিছুটা আন্দাজ করা গিয়েছিল দিনের শুরুতেই। রানি রাসমনি রোডে ১৬৩ ধারা জারি করে প্রশাসন। যদিও দ্রোহ কার্নিভালের অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবিকিষাণ কাপুর।
পুলিশের জারি করা ১৬৩ ধারা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পুজোর কার্নিভালে কি দেখা যাবে টলিপাড়ার নায়ক-নায়িকাদের? যা নিয়ে অনেকের মনেই ছিল কৌতূহল। ইতিমধ্যেই কার্নিভালের মঞ্চে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডু,নুসরত জাহান, জুন মালিয়া -সহ আরও অনেককেই। তবে এ দিন টলিপাড়ার যে ভিড় দেখা যায় তা কিছুটা হলেও কম। কারণ, প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় শহরে নেই। শুটিংয়ের জন্য আপাতত কলকাতার বাইরে। শোনা যাচ্ছে, দেবও বিদেশে ঘুরতে গিয়েছেন। এই বিতর্কিত পরিস্থিতিতে সৌমিতৃষা কুণ্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল TV9 বাংলার তরফে।
সৌমিতৃষা বললেন, “আমি যাচ্ছি। ওখানে গিয়ে যদি বিতর্কের মুখে পড়তে হয়, তবে সবাই যা করবেন, আমিও তাই করব। আমি আন্দোলনের বিরোধী নই। তবে মণ্ডপে মণ্ডপে যে হারে ভিড় দেখলাম, তাতে তো বোঝা গিয়েছে যে উৎসব হয়েছে। এবার নতুন জামা পরে ঠাকুর দেখার পর কার্নিভাল এড়িয়ে যাওয়ার কোনও মানে হয় না। বছরকার দিন, মা চলে যাচ্ছে, সকলের মতো আমিও সেখানে উপস্থিত হব। প্রতিবাদ প্রতিবাদের মতোই হবে কার্নিভালে যাওয়া মানে প্রতিবাদের বিরোধিতা করছি এমনটা একেবারেই না। আর ট্রোল হওয়ার ভয়ে যদি কেউ ভাবেন যাবেন না, তবে আমি বলব, তাঁদের মেরুদণ্ড নেই।” উল্লেখ্য, জুনিয়র চিকিত্সকদের সঙ্গে পথে নেমেছেন দেবলীনা দত্ত-সহ আরও অনেকেই।