মধ্যরাতে একটি পোস্ট। পোস্টটি করেছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, তাঁকে নাকি ঠকানো হয়েছে। একই সঙ্গে অভিনেত্রীর আরও দাবি, তাঁর নামে যা রটেছে তা একেবারেই সঠিক নয়। কী রটেছে? মধ্যমগ্রামে একটি জিম খুলেছিলেন শ্রাবন্তী, প্রায় বছর দুয়েক আগে। সে সময় রোশন সিংয়ের সঙ্গেই সম্পর্কে ছিলেন তিনি। জিমটির চার জন ডিরেক্টরের মধ্যে একজন ছিলেব শ্রাবন্তী। সম্প্রতি ওই জিমের বিরুদ্ধেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন জিম ট্রেইনিরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, চলতি বছরের গোড়ার দিকে ওই মাল্টিজিমের তরফে একটি বিজ্ঞাপন বের করা হয়। দেওয়া হয় আকর্ষণীয় অফার। বলা হয়, বছরে ১৮ হাজার টাকার জায়গায় যদি একবারে সাড়ে সাত হাজার টাকা দেওয়া হয় তবেই জিমে ভর্তি নেওয়া হবে। এই লোভনীয় অফার পেয়ে তাঁরা সেখানে ভর্তি হন। কিন্তু অভিযোগকারীদের দাবি, ভর্তি হওয়ার পরেই নাকি তাঁদের বলা হয়, চার হাজার টাকার বিনিময়ে ব্যক্তিগত ট্রেনার রাখতে হবে। এরই পাশাপাশি হঠাৎ করেই দোল-হোলির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় জিম। এখনও তা পড়ে রয়েছে তালাবন্ধ অবস্থাতেই। এরপরেই মধ্যমগ্রাম থানায় জিমের মালিকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান তাঁরা। তবে ওই অভিযোগ পত্রে জিমের অন্যান্য মালিকদের নাম থাকলেও শ্রাবন্তীর নাম ছিল না। যদিও তারকা-মুখ হওয়ার জন্য ও জিমের মালিক হওয়ার জন্য কটাক্ষের থেকে রেহাই পাননি তিনি।
এরপরেই শনিবার মধ্যরাতে একটি পোস্ট করেন শ্রাবন্তী। তিনি লেখেন, “আমি জানতে পেরেছি আমার বিরুদ্ধে কিছু ভুলভাল অভিযোগ উঠছে যার কোনও ভিত্তি নেই। বলা হচ্ছে আমি নাকি অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত। সবাইকে বলতে চাই আমি এমন কিছু করিনি। আমায় উল্টে ঠকানো হয়েছে। টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। আইনের উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমি নিশ্চিত সত্যি সামনে আসবেই। ধন্যবাদ।” উল্লেখ্য এই গোটা পোস্টে জিম শব্দটিও উচ্চারণ করেননি নায়িকা। তবে যেহেতু তিনি সাম্প্রতিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই পোস্ট করেছেন তাতে দুইয়ে দুইয়ে চার করতে অসুবিধে হয়নি নেটিজেনদের।
প্রসঙ্গত, জিম-কাণ্ডে শ্রাবন্তীর নাম জড়াতেই তাঁর কাছে মতামত জানতে দু’দিন আগেই যোগাযোগ করেছিল টিভিনাইন বাংলা। সে সময় তিনি বলেন, “প্রত্যেকটা জিনিসের সময় থাকে। যারা নাম নথিভুক্ত করেছেন তাঁরা নিশ্চয়ই সময়মতো সবকিছু পেয়ে যাবেন। নিশ্চয়ই কোনও কারণ আছে। তার জন্যই জিমটা বন্ধ করা হয়েছে। আমি এতটাই আমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত যে ও দিকে সময় দিতে পারছি না। কিন্তু যারা যারা টাকা দিয়েছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই তাঁদের টাকাটা পেয়ে যাবেন।” ট্রেইনিরা টাকা ফেরত পান কিনা, তা তো সময়ই বলবে।