Kanchan-Sreemoyee: ‘রাতে ফোন করলে বলত রাখ্ রাখ্… ও তখন ফুর্তি করছে… বাজে দিকে যাচ্ছিল ব্যাপারটা’, প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে কাঞ্চনের সঙ্গে অন্য অভিনেত্রীর ‘ঘনিষ্ঠতা’! মুখ খুললেন শ্রীময়ী
Kanchan-Sreemoyee: কথার রেশ ধরেই শ্রীময়ী বলেন, "আমি তখন বললাম, আমার কাছে তুমি এসব কথা বলবে না। তুমি সামলাও।" বউয়ের কথার রেশ ধরেই কাঞ্চন বলেন, "ভুলভুলাইয়া তখন আমার কাছে মঞ্জুলিকার মতো আতঙ্ক। কিছু ওকে বললেই বলবে, ও... তুমি তো ফূর্তি করছো ওখানে।"
কলকাতা: কাঞ্চন-শ্রীময়ী জুটি! বহু চর্চিত এক ‘কাপল’। সম্পর্ক-বিয়ে- এমনকি মাতৃত্বের ঘোষণা-সবটা জুড়েই রয়েছে নেটিজেটদের একাধিক বক্তব্য। বহু বিতর্কের সম্মুখীন ‘স্পোর্টিংলি হ্যান্ডেল’ করেছে এই জুটি। সম্প্রতি মা হয়েছেন শ্রীময়ী। TV9 বাংলার একান্ত সাক্ষাৎকারে সেই আবেগ, সেই অনুভূতির কথা শেয়ার করেছেন তিনি। কিন্তু সে কথা বলতে গিয়ে, আরও একটি বিষয়ের পর্দাফাঁসও করেছেন শ্রীময়ী। বরাবরই খোলামেলা কথা বলতে ভালোবাসেন শ্রীময়ী। আর সেই কথার ভাঁজেই বলে ফেললেন, কীভাবে গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে কীভাবে কাঞ্চনকে কাছে, পাশে পাননি তিনি। এমনকি রাতে কথা বলার সুযোগটুকুও কাঞ্চন দিতেন না তাঁকে।
শ্রীময়ী বললেন, “তখন তো কাঞ্চনের সঙ্গে সারা রাত কথা বলার সুযোগটুকু নেই। ফোন করলেই বলত, রাখ রাখ রাখ… ফোন অ্যালাউড নেই। আমি তো তখন সারা রাত জেগে আছি। তখন আবার মাধুরিতে শিফ্ট হয়ে গেল… তারপর আবার বিদ্যা বালান।”
আসলে সে সময়ে ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ শুটিং চলছিল। কাঞ্চন তাতেই ব্যস্ত ছিলেন। বাড়িতে সে সময়ে একাই ছিলেন শ্রীময়ী। গর্ভাবস্থায় মুড সুইংয়ের সময়ে কাঞ্চনকে কীভাবে মিস করেছেন, কীভাবে সে সময়ে তাঁদের সম্পর্কের একটা টানাপোড়ন তৈরি হয়েছিল, সে কথা বলছিলেন শ্রীময়ী।
কথার রেশ ধরেই শ্রীময়ী বলেন, “আমি তখন বললাম, আমার কাছে তুমি এসব কথা বলবে না। তুমি সামলাও।” বউয়ের কথার রেশ ধরেই কাঞ্চন বলেন, “ভুলভুলাইয়া তখন আমার কাছে মঞ্জুলিকার মতো আতঙ্ক। কিছু ওকে বললেই বলবে, ও… তুমি তো ফুর্তি করছো ওখানে!”
সে সময়ে শ্রীময়ী তাঁর ডাক্তারের কথা বলেন। কীভাবে সে সময়ে চিকিৎসককে পাশে পেয়েছিলেন তিনি। শ্রীময়ী বললেন, “আমার ডাক্তার তখন বুঝেছিল, এটা একটা অন্য বাজে দিকে যাচ্ছে।” আড্ডা দিতে দিতেই শ্রীময়ী গড়গড়িয়ে বলতে থাকেন সেকথা। বলেন, “কোনও ডাক্তার এরকম আছে কিনা, আমি জানি না.. কিন্তু আমার ডাক্তার বলেছিলেন, চলো কাঞ্চন, আমি তোমাদের ট্রিট দেবো। আমাদের ডাক্তার খাওয়াতে নিয়ে গেল। আমার ডাক্তার কাঞ্চনকে বললেন, ফুলের বোকেটা কেনো, পয়সাটা আমি দিচ্ছি। তারপর কাঞ্চনকে বলল, নতুন করে প্রোপোজ করো। কাঞ্চন লজ্জার লাল হয়ে গেলো। আমি তখন ওকে বললাম, একী গো বান্ধবী থাকাকালীন এতো কথা বলতে, আর বউ হলাম, লজ্জা লাগছে… ”
ফুটফুটে মেয়েকে নিয়ে সুখে-শান্তির দিন কাটছে শ্রীময়ী-কাঞ্চনের। কিন্তু আর পাঁচ সাধারণ দম্পতির মতো, শ্রীময়ী প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডেও যে একটা ছোট্ট দাম্পত্য খুনসুটির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা লুকোলেন না ‘পাওয়ার কাপল’।