Ambarish Bhattacharya: ডায়ে-বাঁয়ে দুই কিংবদন্তি, ১৯৮৩ এবং ২০১১-র মাঝে সেতুবন্ধন অম্বরীশের, ব্যাপারখানা কী?
Kapil Dev-M.S Dhoni: এই দুই তারকা সিনেমা জগতের সঙ্গে সেই অর্থে যুক্ত নন। যদিও দু'জনের জীবনের উপর চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।
বাংলা সিরিয়াল, বাংলা সিনেমার পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের জন্যেও যে অভিনেতাকে কাস্ট করতে পছন্দ করেন পরিচালক-প্রযোজকরা, তিনি হলেন বাঙালি অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গেও একাধিক বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন অম্বরীশ। আরও একটি বিজ্ঞাপনের কাজে রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে গিয়েছিলেন অম্বরীশ। কাজের ফাঁকে গোটা জয়পুর ঘুরে বেরিয়েছেন অভিনেতা। সেই সমস্ত ছবি তিনি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতেও। সেই কাজের সুবাদেই দুই কিংবদন্তি ভারতীয়র সঙ্গে ফ্রেমবন্দি হলেন অম্বরীশ। এই দুই তারকা সিনেমা জগতের সঙ্গে সেই অর্থে যুক্ত নন। যদিও দু’জনের জীবনের উপর চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এই দুই কিংবদন্তি ভারতের দুই বিশ্বকাপ বিজয়ী অধিনায়ক – কপিল দেব এবং মহেন্দ্র সিং ধোনী।
এই দুই তারকাকে দুই পাশে নিয়ে ছবি পোস্ট করেছেন অম্বরীশ। সেই সঙ্গে ক্যাপশনে লিখেছেন – “১৯৮৩ আর ২০১১’র মাঝে আমি! এমন মুহূর্ত বোধহয় জীবনে একবারই আসে…” সত্যি হয়তো একবারই আসে। কপিল-ধোনীর মতো তারকারা তো রোজ-রোজ হাতের নাগালের মধ্যে থাকেন না। ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে অম্বরীশের ওয়ালে।
অম্বরীশের সঙ্গে ফ্রেমে চওড়া হাসি লেগে ছিল কপিল-ধোনীর মুখেও। কপিল দেবের ক্রিকেটীয় কেরিয়ারের উল্লেখযোগ্য বছর ১৯৮৩ সাল। যে বার গোটা বিশ্বকে চমকে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিল ভারত। হার না মানা ক্যাপ্টেন ছিলেন কপিল দেব। সে এক ইতিহাসই বটে। তারপর আসে দীর্ঘ বিরতি। বারবার সুযোগ এসেও ফসকে যায় বিশ্বকাপ। ২৮ বছরের অপেক্ষার পর, ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতে ভারত। সে বার অভিনায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনী। ১৯৮৩ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় নিয়ে পরিচালক কবীর খান তৈরি করেন ‘৮৩’। কপিল দেবের চরিত্রে অভিনয় করে নজর কাড়েন রণবীর সিং। ধোনীর বায়োপিক ‘এম.এস ধোনী: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ মুক্তি পায় ২০১৬ সালে। প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের কেরিয়ারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছবি ছিল সেটাই।