গত মঙ্গলবার রাতে (৩১.০৫.২০২২) ওড়িশা থেকে একটি ভিডিয়ো ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন বাঙালি গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাখ, ওরফে কেকের কলকাতায় শো করতে আসার ঘটনা ও দর্শকের উন্মাদনাকে কেন্দ্রকে রূপঙ্কর বলেছেন, “কে কেকে? হু ইজ় কেকে ম্যান?” ভিডিয়ো শেয়ার করার পরপরই মৃত্যু ঘটে কেকের। এবং রূপঙ্করের করা মন্তব্য হয়ে ওঠে মানুষের আলোচনার বিষয়বস্তু। এখনও পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভয়ানকভাবে ট্রোলড হচ্ছেন গায়ক। একদিকে প্রিয় গায়ক কেকের মৃত্যু, অন্যদিকে রূপঙ্করের মন্তব্য… আলোচনা শুরু হয়েছে ভীষণরকম। রূপঙ্করকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। দেহরক্ষী নিয়ে চলাফেরা করছেন গায়ক ও তাঁর পরিবার। মঙ্গলবার ভিডিয়ো শেয়ার করার পর বুধবার (০১.০৬.২০২২) ও বৃহস্পতিবার (০২.০৬.২০২২)—এই দুই দিনই ‘ইস্মার্ট জোড়ি’ নন-ফিকশন শোয়ের শুটিং করেছিলেন রূপঙ্কর ও তাঁর স্ত্রী চৈতালী। এক অন্য রূপঙ্কর ধরা দিয়েছিলেন সেটে। বলছেন ‘ইস্মার্ট জোড়ি’র অন্যান্য প্রতিযোগীরা। কী বললেন তাঁরা? কেমন ছিল রূপঙ্করের প্রতি চ্যানেলের ব্যবহার? TV9 বাংলাকে তাও জানিয়েছেন তাঁরা…
‘ইস্মার্ট জোড়ি’র প্রতিযোগী সৌরভ সাহা TV9 বাংলাকে বলেছেন, “আমার বা আমাদের মনে হচ্ছে (আবারও বলছি, এটা আমাদের মনে হচ্ছে, সত্যি নাও হতে পারে), হয়তো রূপঙ্করদার আমাদের চোখের দিকে তাকাতে অসুবিধা হচ্ছে। তিনি হয়তো লজ্জাই পাচ্ছেন। খুব খারাপ একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে তিনি যাচ্ছেন। সাধারণত, রূপঙ্করদাকে আমি কোনওদিনও কোনও বাউন্সার বা দেহরক্ষী নিয়ে চলতে দেখিনি। এই দিনগুলোয় সেটে দেহরক্ষী ও বাউন্সার নিয়ে এসেছিলেন রূপঙ্করদা। এখনও পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে দেহরক্ষীরা রয়েছেন। পাশাপাশি এটাও মনে হচ্ছে, সস্তার পাবলিসিটির জন্য রূপঙ্করদাকে চরম ভিলেন বানানো হচ্ছে।”
এদিকে ‘ইস্মার্ট জোড়ি’র প্রযোজনা সংস্থা ও চ্যানেল থেকে রূপঙ্কর ও চৈতালীর দেখভাল করা হচ্ছে সেটে। তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিযোগী বলেছেন, “আমরা খুবই কাছ থেকে দেখেছি রূপঙ্করকে। খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছে। ওঁর স্ত্রী চৈতালীও তাই রয়েছেন। বডিগার্ড নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। খুব চিন্তায় ছিলেন। বোঝাই যাচ্ছিল, গোটা ঘটনায় বেশ উদ্বিগ্ন ছিলেন। অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছিলেন রূপঙ্কর। ওঁরা হয়তো বুঝতেই পারেননি, একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে এমন ঘটনা ঘটে যাবে। সেদিন যদি কনসার্ট করে কেকে মুম্বইয়ে ফিরে যেতেন, এমন ঘটনা হয়তো রূপঙ্করের সঙ্গে ঘটত না।”