নুন, রুটি খেয়ে কেটেছে শৈশব, অভাবে বাড়ি ফিরতে চাইতেন না ভারতী!

Bharti Singh: ভারতী জানান, ছোটবেলায় মাকে অন্য লোকের বাড়ি রান্নার কাজ করতে দেখেছেন। তারপরও দিদিকে নিয়ে একটি কারখানায় কাজ করতেন মা। অর্থাভাবে দোকানে কাজ নিতে বাধ্য হন তাঁর দাদা।

নুন, রুটি খেয়ে কেটেছে শৈশব, অভাবে বাড়ি ফিরতে চাইতেন না ভারতী!
ভারতী সিং।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 16, 2021 | 8:22 PM

দর্শকের মুখে প্রতিনিয়ত হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেন তিনি। অর্থাৎ হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় শিল্পী কমেডিয়ান ভারতী সিং। কিন্তু সেই হাসির আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে তাঁর কান্না। তুমুল অর্থকষ্ট, স্ট্রাগলকে পিছনে ফেলে এখন তিনি অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু পুরনো দিনের কথা আজও ভুলতে পারেন না।

সদ্য এক সাক্ষাৎকারে ভারতী জানান, ছোটবেলায় মাকে অন্য লোকের বাড়ি রান্নার কাজ করতে দেখেছেন। তারপরও দিদিকে নিয়ে একটি কারখানায় কাজ করতেন মা। অর্থাভাবে দোকানে কাজ নিতে বাধ্য হন তাঁর দাদা। এ সব দেখে একটা সময়ের পর আর বাড়ি ফিরতেই নাকি ইচ্ছে করত না তাঁর। ভারতীর কথায়, “কলেজে বন্ধুদের সঙ্গে থাকতাম। হস্টেলে গিয়ে খেয়ে নিতাম। বাড়ি যেতে ইচ্ছে করত না। কারণ আমি জানতাম, বাড়ি গেলেও আবার অর্থ কষ্ট দেখতে হবে।”

ভারতী আরও জানান, কখনও নুন দিয়ে রুটি খেয়েছেন। কখনও বা তরকারির অভাবে চা দিয়ে পরোটা খেয়ে থেকেছেন। সংসার চালাতে মা সেলাইয়ের কাজ করতেন। আজও মেকআপ রুমে কস্টিউম সেট করতে গেলে সেই আওয়াজ তাঁকে নাকি তাড়া করে বেড়ায়। ভারতী বলেন, “আমার বিরাট কোনও স্বপ্ন নেই। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, যেটুকু আছে, সেটুকু যেন থাকে। আজ অন্তত ডাল, সবজি, রুটি খেতে পাই। আমার পরিবার যেন আজীবন এই খাবারটা পায়, সেটা চাইব। পুরনো অবস্থায় আর ফিরে যেতে চাই না।”

মাত্র দু’বছর বয়সে বাবাকে হারান ভারতী। ফলে বাবার তেমন কোনও স্মৃতি তাঁর নেই। বাবার ভালবাসা যে কেমন, তা বোঝার সুযোগ তিনি পাননি। একজন পুরুষ কী ভাবে কোনও মহিলাকে কখনও বন্ধু, কখনও বাবা, কখনও প্রেমিক হিসেবে ভালবাসতে পারে, কীভাবে যত্ন নিতে পারে, তার অনুভূতি নাকি ভারতীর হয়েছিল বিয়ের পর। হর্ষ লিম্বাচিয়াকে বিয়ের পর সেই অভাব অনেকটাই পূরণ হয়েছে।

২০১৭-এ বিয়ে করেন হর্ষ এবং ভারতী। তারপর থেকে তাঁর জীবন নাকি একেবারে বদলে গিয়েছে। এ বার ধীরে ধীরে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন বলেও জানান ভারতী।

আরও পড়ুন, ‘আদি হওয়ার পর এত খুশি কখনও হইনি’, কেন বললেন সুদীপা?