মৃত্যুর পরে কী রয়েছে তা নিয়ে মানব জীবনে কৌতুহলের অন্ত নেই। কেউ বিশ্বাস করেন আত্মার অস্তিত্বে। আবার কারও যুক্তিবাদী মন খন্ডন করে যাবতীয় হিসেব। তবে অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের আবার এ সবে রয়েছে সম্পূর্ণ আস্থা। তাঁর দাবি তিনি প্ল্যানচেটে ‘সিদ্ধহস্ত’। দিদাকেও ডেকেছেন একাধিকবার। অনুভূত হয়েছে এমন কিছু অভিজ্ঞতার যা শুনলে আপাতভাবে চমকে যাবেন আপনি। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শো-য়ে এসে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন ভাস্বর। কী হয়েছিল দিদাকে ডাকতে গিয়ে? কী বলছে ভাস্বরের বিশ্বাস?
অভিনেতার যখন ক্লাস সেভেন তখন তাঁর দিদা মারা যায়। তাঁর কথায়, “একটা টেবিল ছিল। প্ল্যানচেট টেবিল। তার তলায় একটা পেনসিল লাগানো থাকত। সেটা মুভ করত তা পেপারে লেখা হত।” তিনি জানান, মৃত্যুর পরে তিনি কেমন আছেন তা নাকি ভাস্বরকে খোদ জানিয়েছিলেন তাঁর দিদাই। ভাস্বর বলেন, “দিদা বলেছিল, ‘আমি যেখানে আছি সেখানে আলোয় আলোকিত। সুখে ভরা চারিদিক।’ এইটা জানার পর আমার যা আনন্দ হয়েছিল আমি বলে বোঝাতে পারব না।”
এখানেই শেষ নয়। ভাস্বর যখন দিদাকে ডেকেছিলেন তখন তিনি নেহাতই ছোট। স্কুলে পড়েন। বড় হয়ে কী হবেন, তখনও ঠিক করেননি ভাস্বর। দিদাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘বল তো বড় হয়ে কী হব’। ভাস্বর জানান, দিদা নাকি লিখে দিয়েছিলেন তিনি অভিনেতাই হবেন। অভিনেতার দিদা যেদিন মারা যান সেদিনও এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। ভাস্বরের কথায়, “দিদা মারা যাওয়ার আগে অদ্ভুত শূন্যতা নিয়ে চারিদিকে তাকাচ্ছিল আর ক্রমশ বলছিল, ‘কী আশ্চর্য’। পরে প্ল্যানচেটে ডেকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এরকম বলছিলেন কেন? দিদা জানায় আমাকে সবাই নিতে এসেছিল।”
প্ল্যানচেট নেহাতই ভাঁওতা নাকি সত্যিই সাড়া দেন আত্মারা– এ বিতর্ক বহু পুরনো। কুসংস্কার বলে অনেকেই যেমন ফুৎকারে উড়িয়ে দেন, বলেন গাজাখুরি, ঠিক তেমনই অনেকেই পূর্ণ আস্থায় বিশ্বাস করেন এই প্ল্যানচেটে। ঠিক যেমন ভাস্বর করেছেন। একই সঙ্গে ভাগও করে নিয়েছেন দিদার সঙ্গে মৃত্যু উত্তর ‘যোগাযোগ’-এর কথাও।