সোশ্যাল মিডিয়ায় সোনার ঝাড়বাতি দুল পরে পোস্ট করেছিলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। কানের দুলের নস্ট্যালজিক এক কাহিনিও ভাগ করে নিয়েছিলেন অনুরাগীদের সঙ্গে। ক্যাপশনে দুলটি সোনার এ কথা লেখা থাকলেও এক নেটিজেন সুদীপাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘দিদি দুলটি কি সোনার?’ সুদীপা উত্তর দিয়েছিলেন, “আমি ইমিটেশন পরি না”। এর পরেই শুরু ট্রোল। ‘তিনি অহংকারী, পয়সার গরম দেখাচ্ছেন’– জোটে এইসব তকমাও। সেই ট্রোলের রেশ তিন দিন পরেও অব্যাহত।
রবিবারও নিজের এক ছবি পোস্ট করেছিলেন সুদীপা। পরেছিলেন রুপোর গয়না। ‘ইমিটেশন পরি না’র অর্থ ‘সোনার গয়না’ পড়া ধরে নিয়ে নেটিজেনদের একরা বড় অংশ আচমকাই ট্রোল করতে শুরু করেন তাঁকে। একজন লেখেন, “উনি নাকি ইমিটেশন পরেন না, মিথ্যেবাদী”। আর একজন তাঁকে দাগিয়ে দেন মিথ্যেবাদী বলে। ঠাণ্ডা মাথায় সুদীপা উত্তর দেন, তাঁর এদিনের গয়নাটি রূপোর। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, চলতে থাকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও আক্রমণ। এরপরেই সুদীপা এক নেটিজেনের উদ্দেশ্যে লেখেন, “আমি মহৎ কাজ করেছি কতটা তার হিসেব আমি কাউকে দিইনি আর কোনও দিন দেবও না। সে হিসেব শুধু আমার ঈশ্বর জানেন। ডানহাতে দান করবেন এমনভাবে যাতে আপনার বাঁ হাত তা জানতে না পারে, নইলে দান সম্পূর্ণ হয় না। এটা আজ আপনাকে শেখালুম। কেমন?”
তবে সবাই যে ট্রোল করেছেন এমনটা নয়। নেটিজেনদের একটা বড় অংশ পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর। একজন লিখেছেন, “দিদি বলেছে তাঁর ইমিটেশনে এলারজি আছে বলে তিন ইমিটেশন পরেন না। একবারও কী বলেছেন আমি সারা দিন সোনা পরে বসে থাকি? এমন সব লেখার কী মানে?” পাশে দাঁড়িয়েছেন দেবলীনা কুমারও। সুদীপ্তার হয়ে আওয়াজ তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন-যাঁরা ট্রোল করছেন, দেখা হলে তাঁরাই সেলফি তুলতে চাইবেন: সুদীপা চট্টোপাধ্যায়
এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হওয়া নিয়ে টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুলেছিলেন সুদীপা। তিনি বলেছিলেন, “মানুষকে না পাওয়ার যন্ত্রণা এমন করে দিয়েছে, মান আর হুঁশটাই উধাও হয়ে গিয়েছে। সৌজন্যবোধ, ভদ্রতা, বাঙালির যেটা গর্ব ছিল, তা হারিয়ে গেল। আমাদের ছোটবেলায় পাড়া কালচার ছিল। সিভিক সেন্স তৈরি হত। এখন আর নেই। আমার মতে, এরা অ্যাটেনশন সিকার। আমি উত্তর দিলে, নিজস্ব পরিসরে বলবেন, ‘দেখ, সুদীপাকে কেমন দিলাম, উত্তর দিতে বাধ্য হয়েছে’। ফলে ওঁর পপুলারিটি বাড়বে। আমার করুণা হয় এদের জন্য।”