মিষ্টি একটা মুখ। চকচকে দুটো চোখ। গালে টোল। অভিনেত্রীর নাম শ্রাবণী ভুইয়াঁ। ধারাবাহিকের অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ তিনি। লিড রোলেই তাঁকে দেখা গিয়েছে বরাবর। ‘রাখিবন্ধন’ ধারাবাহিকে অভিনয়ে অভিষেক, তাও মুখ্য চরিত্রে। তারপর ‘কনক কাঁকন’, ‘জীবনসাথী’র পর আসন্ন ‘মাধবীলতা’ ধারাবাহিকে তিনিই মাধবীলতার চরিত্রে অভিনয় করছেন। নায়িকার বক্তব্য, এরকম চরিত্রে আগে অভিনয় করেননি। নায়কদের মতো তাঁকেও ‘দুষ্টুলোক’-এর সঙ্গে মারামারি করতে দেখা যাবে। চরিত্রটা প্রতিবাদী। জঙ্গলের গাছ রক্ষা করে। চোরাচালানকারীদের সঙ্গে তার নিত্য লড়াই। পুরুলিয়ার শুটিং চলছিল সম্প্রতি। সেখান থেকে ফিরে TV9 বাংলার সঙ্গে মন খুলে কথা বলেন শ্রাবণী।
ধারাবাহিকের অভিনেত্রীরাও এখন মারামারির সিনে জমিয়ে অভিনয় করছেন। সময়টা পাল্টাচ্ছে। অনেক নতুন চরিত্রের উদয় হচ্ছে, যাতে অতীতে কেবলই পুরুষদের কথা মাথায় রেখে লেখা হত। ‘মাধবীলতা’তেও সেরকমই একটি চরিত্রে দেখা যাবে শ্রাবণীকে। এ ব্যাপারে TV9 বাংলাকে নায়িকা বলেছেন, “ছেলে কিংবা মেয়ে বলে আলাদা করে এখন কিছু নেই। তাঁরা সকলেই এখন সমান-সমান। মেয়েরা এখন প্রতিবাদ করে। আমার চরিত্রটা গাছ রক্ষা করে। ফলে মাধবীলতা মারামারি করে, সে পুরোদস্তুর প্রতিবাদী। জঙ্গলের গাছের চোরাচালানকারীদের সঙ্গে মোকাবিলা করে। প্রাণের বাজিও রাখতে পারে।”
শ্রাবণী নিজে কতটা গাছ ভালবাসেন? অভিনেত্রী বলেছেন, “গাছ আমি খুবই ভালবাসি। এটা আমি আমার মায়ের থেকে পেয়েছি। মা গাছের লালন-পালন করেন। মাকে দেখে অনেককিছু শিখেছি। মাধবীলতার এই চরিত্রটা করতে-করতে গাছকে আরও বেশি ভালবেসে ফেলেছি। ফলে চরিত্রের মধ্যেও প্রতিফলিত হচ্ছে সেই ভালবাসা। তার উপর জঙ্গলের মধ্যে থেকেই শুটিং করেছি। পুরুলিয়ার রোদের তাপ ও বৃষ্টি থেকে এই গাছই কিন্তু আমাদের রক্ষা করেছে।” কতখানি মাধবীলতা হয়ে উঠতে পারলেন শ্রাবণী? নায়িকার উত্তর, “আপ্রাণ চেষ্টা করেছি, যাতে মাধবীলতা হয়ে উঠতে পারি।”
সমরেশ মজুমদারের ‘কালবেলা’ উপন্যাসের মাধবীলতার সঙ্গে এই মাধবীলতার কি আদৌ কোনও মিল আছে? শ্রাবণী বলেছেন, “সেই অর্থে নেই। ধারাবাহিকের মাধবীলতাকে সৃষ্টি করেছেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী। চরিত্রটা সত্যিই-সত্যিই বাস্তবে রয়েছে। তিনি দেখেছেন সেই নারীকে। তাঁর থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে চরিত্রটা গড়েছেন স্নেহাশিসদা।”