‘কফি হাউজ়ের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’… মান্না দের সেই অমোঘ গানকে কে অস্বীকার করতে পারবেন? কিছু গান যেমন জিয়া নস্ট্যাল করে দেয়। তেমনই কিছু ছবিও অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। এটি সেরকমই একটি ছবি। জিয়া নস্ট্যাল করা! ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’। উত্তর কলকাতার পাড়ার কিছু বন্ধুকে নিয়ে গল্প। সকলেই কিশোর-কিশোরী। তাঁদের একসঙ্গে বেড়ে ওঠা, বন্ধুত্ব, প্রেমকে তুলে ধরেছিলেন ক্যাপ্টেন অফ দ্যা শিপ অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। অভিনয় করেছিলেন ঋদ্ধি সেন, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়, ধি মজুমদার, রাজর্ষি নাগের মতো এক ঝাঁক কিশোর-কিশোরী। কৌশিক সেন, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, রজতাভ দত্ত, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, অম্বরিশ ভট্টাচার্য, অপরাজিতা আঢ্য, বিশ্বনাথ বসু ও ঋত্বিক চক্রবর্তীর মতো সিনিয়র অভিনেতারাও ছিলেন। আজ ছবি মুক্তির ৭ বছর হয়ে গিয়েছে।
কিশোর-কিশোরী অভিনেতাদের সিংহভাগেরই প্রথম অভিনয় ছিল ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’-এ। একমাত্র ঋতব্রত বিদ্যা বালনের সঙ্গে আগেই ‘কাহানি’ ছবিতে কাজ করেছিলেন। প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন অভিনেতা হিসেবে। এই সাত বছরের ঋদ্ধি সেনের ঝুলিতে এসেছে জাতীয় পুরস্কার। একাধিক ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছেন তিনি। ঋতব্রতও তাই। সুরঙ্গনাকে অভিনেত্রীর পাশাপাশি গায়িকা হিসেবেও পেয়েছে টলিউড। সময়ের সঙ্গে সকলেই বড় হয়েছেন। স্কুলের গণ্ডি ছেড়ে কলেজেও শেষ করে ফেলেছেন তাঁরা।
ছবির জন্মদিনে একটি সুন্দর পোস্ট নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করেছেন ঋতব্রত। তিনি লিখেছেন, “এই যে কচুয়া (ঋতব্রতর চরিত্রের নাম)। আমাদের ছবি ওপেন টি বায়োস্কোপ ৭ বছরে পা দিল। ২০১৫ সালে দর্শক আমাদের ছবিকে সাদরে গ্রহণ করেছিলেন। ২০২২ সালেও ছবিটি আমাদের সকলের সঙ্গে রয়ে গিয়েছে। আমার বিশ্বাস সারাজীবন থাকবে। এই ছবিটি আমার জন্য অনেক কিছু। অনেক কিছু দিয়েছে এই ছবি। পরিচালক ও নির্মাতাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। সবাইকে ধন্যবাদ। আর আমার বন্ধুদের বলতে চাই, ‘বন্ধু চল’!”
আরও পড়ুন: Shahrukh Khan: ৪ মাস পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিরলেন কিং খান, ভক্তদের আনন্দ ‘কিং ইজ় ব্যাক!’