সোমবার সকালেই সিনেদুনিয়ার মুখ ভার। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই বেশ কিছুদিন ধরেই অভিনেতা খুব একটা ক্যামেরার সামনে আসছিলেন না। যদিও চলছিল শেষ ছবির কাজ। তবে সেই ছবি অসম্পূর্ণ রেখেই চলেগেলেন প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। দমদমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চলছিল চিকিৎসা। এদিন সকাল ৮টা ১৫ নাগাদ লড়াই শেষ…৭৬ বছর বয়সে প্রয়াত অভিনেতা। রেখে গেলেন তাঁর পর্দার চরিত্রদের। একরাশ স্মৃতিতে ভাসছে আজ টলিউড।
অভিনয় জগতে যাত্রা শুরু ১৯৭৬ সালে। ছবির নাম ‘জন-অরণ্য’, সেই থেকে শুরু আর ২০২১-এ শেষ বড়পর্দার সফর। ২০২১ সালে মুক্তি পেয়েছিল প্রদীপ মুখোপাধ্যায়ের শেষ ছবি ‘তরুলতার ভূত’। পরিচালনায় ছিলেন দেব রায়। টিভি ৯ বাংলার পক্ষ থেকে ফোন করায় পরিচালক প্রথম খবরটি পান। চমকে উঠে জানান, ‘এবাবা, তাই নাকি! আমার ছবির কাজটার সময়ও উনি বেশ অসুস্থ ছিলেন। একদিনের আউটিং-এও গিয়েছিলেন। জায়গাটার নাম নূরপুর। ওনার শরীরটা এতটাই খারাপ ছিল যে সঙ্গে ওনার স্ত্রী গিয়েছিলেন। এটা সবাই জানে যে উনি খুবই মিষ্টভাষী ও সরল মানুষ ছিলেন। আর এত গুণীজনের সংস্পর্শে উনি এসেছেন, যে ওনার সঙ্গে কাজ করলেই তার আভাস পাওয়া যেত। ব্যবহারের মধ্যে সেই আপ্যায়নটা থাকত।’
পরিচালক আরও জানান, ‘প্রদীপ মুখোপাধ্যায় একটা বই লিখেছিলেন, সেই বইটা আমায় দেবেনও বলেছিলেন। তারপর যা হয়। উনি অসুস্থও ছিলেন এবং বিভিন্ন কারণে আমার পাওয়াও হয়ে ওঠেনি। ওর স্মৃতিচারণার একটি বই। ওনার হাত থেকে সেই বইটি আর পাওয়া হল না। কাজের সময় লক্ষ্য করতাম বারে বারে ইনহেলার নিচ্ছেন, তবুও ক্যামেরার সামনে উনি নিজেকে উজার করেই দিতেন। আমি ওনাকে নিয়ে কী বলব, এটা আমার সৌভাগ্য যে আমি ওনার সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি। সত্যি একজন লেজেন্ড চলে গেলেন। আমাদের চোখে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজ করেছেন মানেই তিনি কিংবদন্তী, এমন একজন চলে যাওয়া মানেই, একজন লেজেন্ড চলে যাওয়া।’