মুক্তি পেয়েছে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের ছবি ‘বিসমিল্লা’। বাংলা ছবির ভরাডুবির বাজারে যখন রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন পরিচালকেরা তখন এ ছবি যেন একগুচ্ছ মুক্ত বাতাস– রিভিউতে এমনটাই জানাচ্ছেন দর্শকদের একটা বড় অংশ। বিসমিল্লার সানাইয়ে মিশেছে বাঁশির সুর– প্রেম-ভালবাসা-হিংসার সম্মিলিত মোড়কে এ ছবি যে মুহূর্তে ডানা মেলতে শুরু করেছে ঠিক সেই মুহূর্তেই ছবিটিকে কেন্দ্র করে উঠল বয়কট ট্রেন্ড। ঠিক যেমনটা উঠেছিল এক সপ্তাহ আগে মুক্তি পাওয়া রাজ চক্রবর্তীর ছবি ‘ধর্মযুদ্ধ’কে কেন্দ্র করে। ওই দুই ছবিরই নায়িকা শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়?
ফেসবুকে জুড়ে বেশ কিছু নেটিজেনের মন্তব্য এ ছবি নাকি কোনও এক বিশেষ সম্প্রদায়ের তোষণ। এ প্রসঙ্গে ভাইরাল হয়েছে জনৈক শুভদীপ সেনের এক ফেসবুক পোস্টও। শুভজিৎ লিখছেন, “বলিউড যখন বলছে, ‘বলতেই হবে বিসমিল্লা’, দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্ম জগৎ তখন বলছে ‘বন্দেমাতরম’। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই ঘোষিত হয়েছিল দক্ষিণে তৈরি করা হচ্ছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘আনন্দমঠ’। তুলে ধরা হয়েছে বাংলার সে সময়কার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি, স্বাধীনতা আন্দোলন, দুর্ভিক্ষের নানা আখ্যান। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেই ওই ব্যক্তি লিখেছেন, “… এক হাতে গীতা আর এক হাতে তলোয়ার নিয়ে স্বাধীনতার শপথ নেইয়া বাঙালি, বন্দেমাতরম মন্ত্রে দীক্ষিত বাঙালি… বলে কিনা ‘বলতেই হবে বিসমিল্লা’। ” এ প্রসঙ্গে ছবির অন্যতম মূল অভিনেতা ঋদ্ধি সেনের একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ওই ব্যক্তি। যেখানে ঋদ্ধি ছবির প্রচারে একটি ক্যাপশনে লিখেছেন, “যত ভাঙন তুলে নিক এ মন/ বলতেই হবে বিসমিল্লা”। আর তাতেই আপত্তি নেটিজেনদের একটা বড় অংশের। তাঁদের বক্তব্য, “বাঙালি আর বন্দেমাতরম বলে না, বিসমিল্লা শব্দটাই বেশ রোম্যান্টিক”। এ নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে, তখনই টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুলেছেন পরিচালক ইন্দ্রদীপ। তাঁর কথায়, ” আমি কৃষ্ণমন্ত্রে দীক্ষিত। রোজ গুরুমন্ত্র জপ করি। এরপরেও যদি মানুষের কিছু বলার থাকে, বলুক”।
হালফিলে বলিউড-টলিউডে বয়কট ট্রেন্ড বেশ ট্রেন্ডিং। সম্প্রতি আমির খান অভিনীত ‘লাল সিং চাড্ডা’ পড়েছিল এই ট্রেন্ডের মুখে। এবার কি ‘বিসমিল্লা’র কপালেও সেই একই ট্রেন্ড? তবে ‘বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ান’ স্লোগান কি নেহাতই ‘সোনার পাথরবাটি’? এ প্রশ্নও কিন্তু একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না!