‘রং লাল’ হলেও’ বামপন্থী লেখকের পাশে দেবলীনা কুমার, বন্দোবস্ত করলেন আইসিইউ বেড

সৌভিক মিত্র, যাঁর কথা উল্লেখ করেছেন দেবলীনা, তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটলে বোঝা যায়, যে তিনি বামমনস্ক একজন মানুষ।

'রং লাল' হলেও' বামপন্থী লেখকের পাশে দেবলীনা কুমার, বন্দোবস্ত করলেন আইসিইউ বেড
দেবলীনা-সৌভিক।
Follow Us:
| Updated on: May 17, 2021 | 8:29 PM

বাবা বিধায়ক। মেয়ে অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী। পুরোপুরিভাবে শিল্পের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও রাজনীতিতেও দেবলীনা কুমারের অবাধ আনাগোনা। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বার সময় চুটিয়ে রাজনীতি করেছেন। পুরভোটের সময় থেকেই বাবা দেবাশিষ কুমারের প্রচার সঙ্গী ছিলেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাবার হয়ে প্রচারও করেছেন। পদযাত্রায় হেঁটেছেন। বিধানসভা নির্বাচনেও ব্যতিক্রম হয়নি। বাবার মিটিং-মিছিলের ছবি শেয়ার করেছেন নিজের ফেসবুক ওয়ালে। সে-ই ‘ঘাসফুল’ ঘেঁষা দেবলীনা যখন লেখেন,  ‘রং লাল হলেও, আমরা তাঁদের পাশে আছি…’ তা যে সমালোচকরা চোখ এড়িয়ে যাবে না তা কিভাবে সম্ভব?

 

আরও পড়ুন “কলকাতার পেশাদাররা আমায় এড়িয়েই চলেন”, নিজের নতুন সুর করা গানের পোস্টে লিখলেন কবীর সুমন

 

সোমবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখলেন রং লাল হলেও পাশে আছি। তাহলে কি লালে মজতে চলেছেন দেবলীনা? তাঁকে ফোন করা হলে, প্রথমেই এক গাল হাসি। তারপর বললেন, “রেড ভলিন্টিয়াররা বলছে যে তাঁরাই নাকি মানুষের পাশে আছেন। তা কিন্তু নয়। আবার হয়তো ভাবছেন আমরা (যাঁরা লাল নয়) তাঁরা কেউ বামপন্থীদের পাশে নেই, তাও কিন্তু নয়”

কিন্তু হঠাৎ এ হেন পোস্টের কারণ?

দেবলীনা বললেন, “তা নয়। আমার কাছে একটি কল আসে। জানতে পারি, অ্যাক্রোপলিস এন্টারটেনমেন্টের (প্রযোজনা সংস্থা) একজন লেখক, সৌভিক মিত্র। উনি খুব অসুস্থ হয়ে নারায়ণীতে (হাসপাতাল) ভর্তি ছিলেন। খুব ক্রিটিক্যাল অবস্থা। মেডিকাতে (হাসপাতাল) স্থানান্তরিত করাতে হবে। কিন্তু মেডিকার তরফ থেকে কনফার্মেশন পাওয়া যাচ্ছিল না। বাবাকে ঘটনাটি জানাই, বাবা-ই মেডিকাক কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলে তাঁকে ভর্তি করান।”

 

 

সৌভিক মিত্র, যাঁর কথা উল্লেখ করেছেন দেবলীনা, তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটলে বোঝা যায়, যে তিনি বামমনস্ক একজন মানুষ। রেড ভলিন্টিয়ারদের নম্বর থেকে ‘বিজেমূল’কে ভোট না দেওয়ার অনুরোধ করছেন তাঁর ফেসবুক পোস্টে। দেবলীনা গোটা ঘটনাটি শুনে বলেন, “দেখুন আমরা রং দেখি না। আমি জানি রেড ভলিন্টিয়ার্সরাও ফান্ড তুলে তাঁকে সাহায্যের চেষ্টা চালাচ্ছে। ওঁরা মেডিকাতে কথা বলেছিল, কিন্তু কনফার্মেশন পায়নি। আমার মনে হয়েছিল বাবা কথা বললে বিষয়টি হয়ে যাবে, তা-ই হয়েছে।”