Pavel: ৯৭ থেকে ৬৬-৬৭, ৮ মাসে কীভাবে ২৭ কিলো ওজন কমালেন পাভেল?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sneha Sengupta

Dec 24, 2021 | 8:07 PM

বড়দিনের আগে বড়সড় সারপ্রাইজ় দিলেন পাভেল। সারপ্রাইজ়ের সঙ্গে রয়েছে রোগা হওয়ার সহজ উপায়।

Pavel: ৯৭ থেকে ৬৬-৬৭, ৮ মাসে কীভাবে ২৭ কিলো ওজন কমালেন পাভেল?
পাভেল; অঙ্কুশ ও ঋদ্ধির মাঝে দাঁড়িয়ে পাভেল।

Follow Us

“অঙ্কুশ, ঋদ্ধির মাঝে ওই নতুন ছেলেটা করে ব়্যা! চেনা চেনা লাগছে… আরে একে তো চিনি… এই তো ‘রসগোল্লা’র পরিচালক পাভেল। তা অমন রসগোল্লার মতো চেহারা পদ্মফুলের ডাঁটি হল কী করে জান তো… আমরাও একটু হই।”

…সেটা জানানোই আমাদের কাজ। আমাদের মানে TV9 বাংলার। নিজেরই দুটি পরিচালিত ছবি ‘মন খারাপ’ ও ‘কলকাতা চলন্তিকা’-এ অভিনয় করছেন পাভেল। একটিতে বড় চরিত্র, অন্যটিতে বলা যায় গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স। অঙ্কুশের মতো জিম ফ্রিক, ঋদ্ধির মতো সুঠাম চেহারা, দিতিপ্রিয়ার মতো স্লিম অভিনেতাদের সঙ্গে একই লিগে নাম লিখিয়ে পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয় করতে চলেছেন পাভেল। এই প্রথম। প্রস্তুতি তুঙ্গে! কীভাবে রোগা হলেন? সেই রহস্যই ‘সিক্রেট স্যান্টা’র মতো শেয়ার করলেন TV9 বাংলার কাছে।

অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়ের সঙ্গে পরিচালক পাভেল…

পাভেল আমাদের বলেছেন, “‘মন খারাপ’-এর ছবিটা যখন লিখছিলাম, হঠাৎই মনে হল, আরে এই চরিত্রটা তো আমি করতে পারি। তখনই সঙ্গে সঙ্গে মনে হল এই রোলটার জন্য আর একটু ফিট হলে ভাল হয়। তখন করোনাও চলছিল। বাইরে খাওয়াদাওয়া প্রায় বন্ধ। আমি হাঁটাহাঁটি বাড়িয়ে দিলাম। ওয়ার্ক আউট বাড়িয়ে দিলাম। খাবারের ক্ষেত্রে অনেকটাই সংযম করতে শুরু করলাম। এর ফলেই ৮ মাসে ২৭ কেজি ওজন কমে গেল আমার।”

সেটা কী রকম? জানিয়েছেন পাভেল। বলেছেন, “আমার হাইট ৫ ফুট সাড়ে ৬ ইঞ্চি। সেই তুলনায় আমার ওজন এখন অনেকটাই কমিয়ে ফেলে নামিয়েছি প্রায় ৬৬-৬৭ কিলোগ্রাম। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী ওভার ওয়েট বলে আমার কিন্তু আগে কোনওরকম অসুবিধে ছিল না। আমি বেশ খুশিই ছিলাম। ফিটও ছিলাম। ওই চেহারা নিয়ে দিব্যি খেলতে, দৌড়তাম। তবে ওজন কমে যাওয়ার কারণে কাজের স্পিড বা গতি বেড়ে গিয়েছে। ‘মন খারাপ’ ছবিটার জন্য আমাদের পুরুলিয়ায় শুটিং ছিল। ঝর্ণায় আমি চারবার অবলীলায় ওঠানামা করেছি। কোনও অসুবিধেই হয়নি আমার। ওজন কমায় আমার অনেকটাই হালকা লাগছে।”

অভিনেতা ঋদ্ধি সেনের সঙ্গে পরিচালক পাভেল

কীভাবে রোগা হলেন পাভেল? বলেছেন, “খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণে আনা মানে এটা নয় বিরাট নিয়ন্ত্রণ করে ফেললাম। তেল খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিয়েছি। মিষ্টি বাদ দিয়েছি এক্কেবারে। মাখন-ঘি খাই না। ভাত খাই না আজ কতদিন হয়ে গেল। আমার ডায়েটে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ শাক-সবজি। তার উপরে আমি নিরামিষ আহার করি। মাছ, মাংস, ডিম একেবারে খাই না। ফলে ওজন কমতে সাহায্য করে আমার খাদ্যাভ্যাসও। তবে মনে হয়, আমাকে রোগা করেছে জল খাওয়া, হাঁটাচলা ও খাদ্যাভ্যাস।”

খেতে ভালবাসা ও খাবার নিয়ন্ত্রণ করা একটা বিরাট কর্মকাণ্ড। আসলে সংযমের কোনও তুলনা হয় না। যা কিছু অপূর্ব, অসাধারণ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় সুপ্ত গৌরবও কাজ করে। হাতছানিকে তোয়াক্কা না করার মধ্যে রোয়াব আছে। সবাই সেটা হয়তো পারেন না। বিশেষ করে যাঁরা খেতে ভালবাসেন। চোখের খিদেকে বাগে আনবেন কী উপায়! পেরেছেন পাভেল। খাদ্যরসিকদের সামনে ছুঁড়ে দিয়েছেন নিজেরই উদাহরণ। বলেছেন, “আমি খেতে ভালবাসি। আমার কাছে খুবই কষ্টের একটা বিষয়। বার বার মনে হয়ে খেতে পারার সময়টাই ভাল ছিল।”

ছেলের জন্য বড়দিনের সান্থা পোশাক কিনতে কিনতে বলছিলেন পাভেল…

আরও পড়ুন: Subhashish Mukhopadhyay Exclusive: অভিনয় যখন ভোঁতা হয়ে যায়, থিয়েটার তাতে শান দেয়: শুভাশিস মুখোপাধ্যায়

Next Article