AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jaya Ahsan: ‘বাংলাদেশের ছবিতে মাটির গন্ধ আছে’, ঢাকা না টালিগঞ্জ, কোন ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে রাখলেন জয়া

Dhaka Film Industry: আসলে সব সময় বলে থাকি আমি তো আলাদা করে বাংলাদেশেরও নই, এখানকারও নই। আমি বাংলার হয়েই কাজ করি।

Jaya Ahsan: 'বাংলাদেশের ছবিতে মাটির গন্ধ আছে', ঢাকা না টালিগঞ্জ, কোন ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে রাখলেন জয়া
| Updated on: Aug 04, 2022 | 7:30 AM
Share

ঢাকা ও টালিগঞ্জ, দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে সকলের নজর কেড়ে চলেছেন জয়া আহসান। তবে কোথাও গিয়ে কি তুল্যমূল্য আলোচনায় ঢাকাকেই এগিয়ে রাখলেন জয়া, নাকি টালিজঞ্জই পছন্দের তালিকায় সেরা! TV9 বাংলাকে খোলামেলা জানালেন অভিনেত্রী। 

কলকাতা এসে কেমন লাগে?

বাড়িতে এসে ঠিক যেমন অনুভুতি হয়, কলকাতায় আসলেও ঠিক তেমনই লাগে। আরেকটা দেশে এসেছি বা অন্য জায়গায় এসেছি বা অপরিচিত কোনও জায়গায় এসেছি বলে কখনওই মনে হয় না। যেহেতু এখানে আমার বাড়িও আছে, তা-ই নিজের বলেই মনে হয়।

ঢাকা ও টালিগঞ্জ, দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই আপনার আধিপত্য, তফাৎ কিছু নজরে পড়ে?

না, প্রাথমিকভাবে কাজের স্টাইলটা একইরকম। ছবির প্রেক্ষাপট অনুযায়ী হয়তো কখনও-কখনও অন্যরকম। বাংলাদেশের ছবিতে মাটির গন্ধ অনেক বেশি। এখানে আর্বান সোসাইটি বা আর্বান যে পরিবেশ, তার দাপটটা বেশি। কিছু-কিছু ক্ষেত্রে সম্পর্কের গল্প, সেগুলো অনেকদিক থেকে এগিয়ে থাকে। এই ধরনের কাজ অনেক বেশি হয় টালিগঞ্জে। আরও একটা বিষয় বলব, এখানে (টালিগঞ্জ) বেশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজটা করা হয়। আমাদের দেশেও যে তেমনটা হয় না, তা নয়। তবে ভাষার ক্ষেত্রে এই আলাদা বিষয়টা আমি প্রথম থেকেই অনুভব করেছি এবং তা সকলেরই জানা। তবে দিনের শেষে আমরা বাংলাই বলি। এছাড়া খুব একটা তফাৎ নেই। কাজের ধরন, কাজের জায়গা, কাজের পরিবেশ সবই মোটামুটি একই রকম।

কলকাতার ছবিতে যখন অভিনয় করো, ঢাকায় সেইসব ছবিকে কেন্দ্র করে ভক্তদের উত্তেজনা ঠিক কতটা থাকে?

খুব ভাল প্রতিক্রিয়া পাই। আসলে সব সময় বলে থাকি আমি তো আলাদা করে বাংলাদেশেরও নই, এখানকারও নই। আমি বাংলার হয়েই কাজ করি। বাংলা ভাষায় কাজ করি। একজন শিল্পীর কাজই হল যোগসূত্র তৈরি করা। যেহেতু ও পারেও প্রচুর বাঙালি রয়েছেন, এ পারেও প্রচুর বাঙালি রয়েছেন, সেই দুই দর্শকদের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি করাটা খুবই প্রয়োজন। আমি সেটার অনুঘটক হিসেবে কাজ করে থাকি। এটা আমার ভাবতে ভীষণ ভাল লাগে।

ঢাকা চলচ্চিত্র জগতে স্বজনপোষণ কতটা জায়গা জুড়ে রয়েছে?

না, নিজের মতো করেই কাজ করা যায়। তবে বলব কমবেশি সব জায়গাতেই থাকে। তারপরও যেখানে যাকে যেমন প্রয়োজন, সেই মানুষটিকে জায়গা করে দেওয়া, এগিয়ে দেওয়া, সেটা তো সব জায়গাতেই হয়। এখানেও হয়। নইলে আমি আরেক দেশের হয়েও কেন এখানে এসে কাজ করছি! এখানে আমার প্রয়োজন রয়েছে বলেই তাঁরা আমায় ডাকছেন।

বাংলাদেশ থেকে কলকাতার বুকে এসে অভিনয় করেছেন অনেকেই। তাঁদের মধ্যে আপনি অন্যতম, অনেকেই এই জায়গাটা তৈরি করার জন্য মরিয়া। আপনার মতে এর সঠিক মন্ত্রটা কী?

দেখ, সবাই নিজের মতো করে ভাল কাজ করছেন। তবে কে কোনটা করবেন, এটা তাঁর নিজের পছন্দ। আমি যেমন নিজেই বুঝে নিয়ে থাকি, কোন কাজটা করব, কোন কাজটা করব না। এটা আমার মনে হয় প্রত্যেক শিল্পীই বুঝে যান। টলিউড প্রসঙ্গে আমি আরও একটা কথা বলব, এখানে মানুষ ভীষণ অতিথিপরায়ণ, অনেক বেশি আপন করে নিতে পারেন। সেইজন্য এখানে আলাদা করে কোনও পরিশ্রম করার প্রয়োজন নেই। কাজটুকু করলেই হয়ে যায়।