মীর ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়– টলিপাড়ায় তাঁদের বন্ধুত্বের খবর কে না জানে? তবে ইদানিং তাঁদের ঘন ঘন ছবি পোস্ট, একসঙ্গে আউটিং নিয়ে চলছে জোর চর্চা। আর এই ছবি দেখেই এক অংশের দাবি তবে কি কোনও নতুন সম্পর্কের পূর্বাভাস? টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুললেন মীর। নিজস্ব ভঙ্গিমায় তাঁর বক্তব্য, “আমরা চাই আমাদের সম্পর্ক নিয়ে আরও গুঞ্জন হোক”।
কেন? মীর ও স্বস্তিকা প্রায় চার বছর পর আবারও একসঙ্গে ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন। ছবির নাম ‘বিজয়ার পরে’। পরিচালক অভিজিৎ শ্রী দাস। মীরের দাবি এই ঘনঘন ছবি পোস্ট নাকি আদপে পাব্লিসিটি স্টান্ট, ছবি প্রচারের অঙ্গ। আর এ নির্দেশ এসেছে খোদ পরিচালকের কাছ থেকেই। সিরিয়াস মুখ করে অভিনেতার বক্তব্য, “সবই পাব্লিসিটি, একসঙ্গে ছবি করছি, পরিচালক আমাদের আলাদা করে টাকা দিচ্ছেন। যাতে ছবি নিয়ে লোকের মধ্যে গুঞ্জন থাকে সেই কারণেই করা হচ্ছে এমনটা।” এখানেই থামেননি তিনি। যোগ করলেন, ” এই একই ট্রেন্ড ছবি রিলিজের আগেও করা হবে। ‘বিজয়ার আগে’ ও ‘পরে’ প্রশংসার বন্যায় আমরা একে অপরের ছবি পোস্ট করব, সেটা নিয়ে মানুষের মধ্যে কথা হবে… আমরা ভীষণ পাবলিসিটি হাঙ্ক, আমরা চাই আমাদের ছবি নিয়ে আলোচনা হোক, আমাদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন হোক, এটা কিন্তু পরিকল্পিত।” স্বীকারোক্তি না সারকাজম? মীরের বক্তব্যের পর এই প্রশ্নই যখন মনে ঘুরপাক খাচ্ছে, অভিনেতা খানিক নিচু স্বরে বললেন, “মিডিয়া কিন্তু জানে না। শুধু আমি জানি, স্বস্তিকা জানে আর জানে আমাদের পরিচালক।” তবেই বুঝুন! গসিপকেও বাউন্সার দেওয়া বোধহয় একেই বলে!
বিজয়া। বাঙালির রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে থাকা এক আবেগ, এক উৎসবের নাম। মনখারাপের রেশ নিয়ে বিজয়া আসে প্রতিবছর। বিজয়া আবার আগমনীর অপেক্ষাকেও চেনায়। তেমনই কিছু অপেক্ষা, জীবনের অপেক্ষার গল্প এই ছবির মাধ্যমে বলতে চলেছে পরিচালক। এস আর জুপিটার ক্রিয়েশনের নিবেদনে এই ছবিতে অভিনয় করবেন মমতা শংকর, দীপঙ্কর দের মতো শিল্পীরাও। বারুইপুর রাজবাড়িতে শুট চলেছে। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় হঠাৎ করে বিজয়ার সুর ভেসে আসছে শহরতলির বাগানঘেরা সাতমহলায়।