সান্টা আসছে। সান্টাবুড়োর স্লেজ গাড়িতে ঠাসা উপহার। বাহারি খেলনা, শীতের পোশাক, সফট টয়েজ। কী নেই সেখানে! রবিবার সকালে নুসরত জাহানের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেখা গেল এমনই এক ছবি। এই বছর যেন সময়ের খানিক আগেই নায়িকার বাড়িতে বসেছে ক্রিস্টমাস পার্টি।
নুসরতের ছেলে ঈশানের জন্য এসেছে গাড়ি ভর্তি খেলনা। আর ঈশানের এই সিক্রেট সান্টা কে জানেন? তিনি আর কেউ নন, রাজ-শুভশ্রীর একরত্তি ইউভান। রবিবারের সকালে রাজ-শুভশ্রীর তরফ থেকে এল এই ক্রিস্টমাস স্পেশ্যাল উপহার। কী নেই সেখানে।
সেই ছবিই পোস্ট করে ছেলের হয়ে নায়িকা-সাংসদ নুসরত লেখেন, ‘ধন্যবাদ ইউভান ভাইয়া, ফ্রম ঈশান’। সঙ্গে অবশ্যই রাজ-শুভশ্রীকে ট্যাগ করতে ভোলেননি নায়িকা। রাজের সঙ্গে বরাবরই ভাল সম্পর্ক নুসরতের। নুসরতের এত বছরের জার্নির সাক্ষী রাজ। তাঁর হাত ধরেই তো এই ইন্ডাস্ট্রিতে হাতেখড়ি অভিনেত্রীর। কর্মক্ষেত্র বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে শিরোনামে উঠে এসেছে নুসরতের নাম। কিন্তু যা ঘটুক না কেন এত বছরে রাজ-নুসরতের সম্পর্কের কোনও পরিবর্তন হয়নি। রাজকে নুসরত ড্যাডি বলে ডাকেন, এ কথা হয়তো ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই জানেন।
কথায় আছে আসলের থেকে সুদের দাম বেশি। সুতরাং ড্যাডির কাছে যতই নুসরত যতই আদরের হোন না কেন ঈশানের ভালবাসা তার থেকে একটু বেশি তো হবেই। আর সেই ঝলকই পাওয়া গেল রবিবার সকালে নুসরতের এই পোস্টে।
ঈশানকে তিনি এবং যশ দুজনে সামলাচ্ছেন, এ কথা আগেই জানিয়েছেন নুসরত। বাবা হিসেবে যশকে ফুল মার্কসও দিয়েছেন। TV9 বাংলাকে আগেই নুসরত বলেছিলেন, “যশ ইজ অ্যান অ্যামেজিং ফাদার। ও আছে বলেই আমি সবটা সামলে নিতে পারছি। আমি যখন শুটিংয়ে বের হচ্ছি তখন ঈশানকে দেখে রাখছে ও। আবার ও যখন শুটিংয়ে বের হচ্ছে তখন ঈশানকে দেখছি আমি। যদি নম্বর দিতেই হয় তবে বাবা হিসেবে যশকে আমি দশের মধ্যে এগারো দেব আমি।” সদ্য ছবির শুটিংয়ে ঈশানকে কলকাতায় রেখেই কাশ্মীর পাড়ি দিয়েছিলেন যশ-নুসরত। সে প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আগেই বলেছেন, “ঈশানকে ওই ঠাণ্ডার মধ্যে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। সারাক্ষণ মন পড়ে থাকত ওর কাছেই। ভিডিয়ো কলে ওকে দেখতাম। ওর খোঁজ রাখতাম। আগে এত ফোন দেখতাম না এখন যতটা দেখি। একটা অ্যাড অন দায়িত্ব জুড়েছে যে।”