প্রায় ৩৫ থেকে ৪০টি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের কেমিস্ট্রিও ছিল দেখবার মতো। বহু বছর পার হলেও সেই রসায়ন আজও এক। সে প্রমাণ মিলল ছবিতেই। দিন কয়েক আগে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ‘উৎসব’-এ ধুমধাম করে পালিত হয়েছে বিজয়া দশমী। হাজির ছিল প্রায় গোটা টলিউড ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থেকে মিমি চক্রবর্তী, যিশু সেনগুপ্ত থেকে শুরু করে অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা– তালিকাটা বেশ লম্বা। হাজির ছিলেন রচনা নিজেও। সেখানে গিয়েই উস্কে উঠল নস্টালজিয়া। প্রসেনজিতের গলা জড়িয়ে ছবি দিয়ে কী লিখলেন তিনি? রচনা লিখলেন, “সবচেয়ে সুন্দর, সুপুরষ একজিন হিরো। এই সন্ধের জন্য অনেক ধন্যবাদ তোমায়। খুব ভাল একটা সময় কাটিয়েছি।” শুধু কি তাই? তাঁর প্রিয় নায়কের প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ তিনি। লিখলেন আরও… যোগ করলেন, “তুমি তো চিরসবুজ। পঞ্চাশের পরেই যে জীবন শুরু হয় সে প্রমাণ তুমিই দিয়েছ। তোমায় ভালবাসি। সবসময় ভালবেসে যাব।”
একসঙ্গে তাঁদের ফের ফ্রেমবন্দী হতে দেখে নস্টালজিয়ায় ভাসছেন তাঁদের ভক্তরাও। এই যেমন এক ভক্ত লিখেছেন, “তোমার আর বুম্বাদার (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ডাক নাম) সবুজ সাথী ছবিটির কথা আজও মনে আছে, বড় ভাল।” আর একজনের আক্ষেপ, “এই জুটিটিকে বড় পর্দায় মিস করি। আবার একসঙ্গে দেখতে চাই। প্লিজ কেউ তাঁদের একসঙ্গে কাস্ট করুন না টলিউডে আবার সবচেয়ে প্রিয় জুটি ছিলেন ওঁরা। ”
একটা সময় টলিউডের হিট জুটি ছিলেন ওঁরা। বিভিন্ন সময়ে নানা অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রেমের গুঞ্জন শোনা গেলেও রচনার সঙ্গে কোনওদিনই নাম জড়ায়নি তাঁর। সে নিয়ে কিছু বছর আগে এক রিয়ালিটি শো-য়ে আক্ষেপও করেছিলেন রচনা। বলেছিলেন, “একসঙ্গে ৩৫-৪০টি ছবিতে আমার নায়ক তিনি। কখনও কি মনে হয়নি রচনার সঙ্গে প্রেম করা যায়? ওর হাতটা ধরা যায়? দুটো ভাল কথা বলা যায়?” সে যাই হোক, ব্যস্ততা ঘিরে থাকে রচনাকে। তাঁর এক ছেলে। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ না হলেও তাঁরা আলাদা থাকেন বহু বছর ধরেই।