হুডখোলা জিপ, তাতে উঁকি দিচ্ছে এক চিলতে নীল আকাশ। হাসি হাসি মুখে তিন জন আরোহী জিপে করে বেড়াতে বেরিয়েছেন। তিন জনের চোখেই রোদচশমা। মাথায় টুপি। হয়তো কোনও ‘জঙ্গল সাফারি’…। সামনের সিটে বসেছে সবচেয়ে খুদে সদস্যটি। সেলফি তুলেছে সেই। হাসি হাসি মুখ– যেন ভাঙা সম্পর্ক জুড়ে যাওয়ার পূর্বাভাস। কথা হচ্ছে রাহুল অরুণোদয় বন্দোপাধ্যায় (Rahul Arunoday Banerjee) প্রিয়াঙ্কা সরকার ও তাঁদের একমাত্র সন্তান সহজের। আবারও পরিবারকে ফ্রেমে রেখে এক ছবি ভাগ করে নিয়েছেন রাহুল। আর তাতেই রাহুল-প্রিয়াঙ্কার এক হওয়ার খবরটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এক সময় তুমুল প্রেম ছিল তাঁদের। অল্প বয়সে বিয়ে, সংসার ও তাঁদের একমাত্র ছেলে সহজ। কিন্তু কিছু বছর যেতেই সম্পর্কের অবনতির কথা কে না জানেন? আইনি বিচ্ছেদ না হলেও আলাদা থাকেন তাঁরা। তবে যোগাযোগ নেই এ কথা ভুল। দম্পতির মধ্যে যোগসূত্র যে সহজ করে দিয়েছে সে সহজ। উৎসবের রাতে এক জন তাঁরা। একসঙ্গে চলে সেলিব্রেশন, চলে ঘুরতে যাওয়াও। প্রমাণ– রাহুলের শেয়ার করা ছবিটি।
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কিছু মাস ধরেই শোনা যাচ্ছিল, পুরনো তিক্ততা ভুলে সম্পর্ক নাকি সহজ থেকে সহজতর করে তুলতে চলেছেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বরফ হয়তো গলছে অবশেষে। অনুরাগীদের মতে এ ছবি যেন তাঁরই ইঙ্গিত। শুধু অনুরাগীকেন ইন্ডাস্ট্রির বন্ধু যেমন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, তাঁরাও একগুচ্ছ ভালবাসা পাঠিয়েছেন ওই পরিবারকে। হলই বা তা ভার্চুয়াল, মিষ্টি ছবিতে প্রশংসা আসাটাই তো স্বাভাবিক। আর কিছু দিন পরেই প্রিয়াঙ্কা সরকারের জন্মদিন। শহরের এক নামী হোটেলে আয়োজন করা হয়েছে এক হেভিওয়েট পার্টির। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেরই সেখানে আসার কথাও রয়েছে। রাহুল কি আসবেন? এখন যদিও সেটাই দেখার। অন্যদিকে রাহুলের ধারাবাহিকের কাজ শেষ হয়েছে সম্প্রতি। তিনি ব্যস্ত পরিচালনার কাজে। তাঁর প্রথম ছবি শুট হওয়ার কথা ছিল এর মধ্যেই। যদিও শুট শুরু হওয়ার আগেই এক সমস্যায় জড়িয়ে পড়তে হয়েছে তাঁকে।
ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে সৌরভের অবদান, ১৯৯৬ সালে অভিষেক টেস্টে লর্ডসে শতরান, রাজকীয় ভঙ্গিতে লর্ডসের ব্যালকনিতে ভারতীয় জার্সি খুলে ঘোরানোর মতো ক্ষিপ্রতার কথা মাথায় রেখেই ‘কলকাতা ৯৬’ বলে একটি সিনেমা তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন রাহুল। কিন্তু বেশ কিছু দিন আগে বোর্ড সভাপতির পদ থেকে সৌরভের বিদায়ের কারণে প্রযোজক রানা সরকার জানিয়েছেন ওই ছবির জন্য তিনি অর্থ দেবেন না। তাঁর যুক্তি, লর্ডসের মাঠে সৌরভ গাঙ্গুলির শতরানের ফুটেজের অংশ ছবিতে দরকার ছিল। দাদা যদি বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে থাকতেন তবে হয়তো সেই ফুটেজ ২০-৩০ লক্ষ টাকায় পেয়ে যেতাম। কিন্তু এখন যেহেতু তিনি আর ওই পদের নেই, আমি খোঁজ নিয়েছি ওই ৩-৪ মিনিটের ফুটেজ কিনতে আমার এক কোটির উপর খরচ হবে যা আমি দিতে পারব না।” অন্যদিকে রাহুলের বক্তব্য, “ছবিটি করব। রানাদা যদি না করে তবে অন্য কোনও প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে নিশ্চয়ই এই ছবি হবে।”