“তরুণ মজুমদারের সিনেমাগুলো দেখতে সাদা-মাটা লাগলে কী হবে, কাজ করতে গিয়ে দেখেছি কতটা নিঁখুত কাজ ওঁনার”, প্রয়াত পরিচালকের স্মৃতিচারণায় বললেন ঋষি কৌশিক। পরিচালকের সিনেমা দেখে বড় হয়েছেন। ‘চাঁদের বাড়ি’ ছবিতে পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। “তখন আমারও সবে ইন্ডাস্ট্রিতে ২ বছর হয়েছে। আর তাঁর মধ্যেই তরুণবাবুর ইউনিট থেকে ডাক পাই। প্রথমে খুব এক্সাইটেডের সঙ্গে নার্ভাস ছিলাম। গিয়ে দেখলাম কী রাশভারী মানুষ। কিন্তু কাজ শুরু হলে বুঝলাম ওটা বাইরের। দক্ষতার সঙ্গে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের উনি খুব পছন্দ করতেন”, পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভাগ করতে ঋষি ফিরে গেলেন বছর ১৫ আগে।
২০০৭ সালে তৈরি হয় ‘চাঁদের বাড়ি’। সেই ছবির পর থেকে কাজও কমিয়ে দেন প্রয়াত পরিচালক। ফোনে বা সিনেমার প্রিমিয়ারে দেখা হত তাঁর সঙ্গে অভিনেতার। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কাজ করার প্রতিটি মুহূর্ত আজও মনে রয়েছে ঋষির। পরিচালকের প্রয়ানে দুঃখিত তো বটেই, কিন্তু তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কত কিছু শিখেছেন, তা ভাগ করলেন।
“একদিনের ঘটনা। শুটিং ফ্লোরে গিয়ে জানতে পারি দেরি হবে শুটিংয়ে। প্রথমে ভাবলাম কারও হয়তো আসতে দেরি হচ্ছে। কিন্তু খোঁজ নিতে গিয়ে শুনি সেই দিন ছবির যে দৃশ্যটির শুটিং হওয়ার কথা, সেখানে একটা সার্টিফিকেট ঝোলানো থাকবে। উনি ফ্লোরে এসে সার্টিফিকেট দেখেন, কিন্তু পছন্দ হয় না লেখার ফ্রন্টটি। তারপর নিজে হাতে লিখে তারপর শুটিং শুরু করেন। কাজের বিষয়ে তিনি ছিলেন ভীষণ খুঁতখুঁতে”, আরও একটি ঘটনা ভাগ করলেন ঋষি।