‘এলএসডি’– পুরো নাম ‘লাল সুটকেসটা দেখেছেন’? অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী ও সায়নী ঘোষ অভিনীত এই ছবি ঘিরেই আপাতত তোলপাড় টলিউড। মুক্তির ঠিক এক দিন আগেই সেন্সরের করাল গ্রাসে এই ছবি। ছবির নাম ও বেশ কিছু জায়গার কিছু দৃশ্যের জন্য আপত্তি জানিয়েছিল সেন্সর বোর্ড। টিম ‘এলএসডি’ সূত্রে জানা গিয়েছে, তা পরিবর্তন করে সেন্সর বোর্ডের কাছে পাঠানো হলেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সেন্সরের তরফে শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। ফলত ছবিটি আদপে কাল মুক্তি পাবে কিনা তা নিয়ে সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল আলোচনা। টিম ‘এলএসডি’র তরফেও প্রকাশ করা হয়েছিল এক বিবৃতি। সেখানে লেখা হয়, “অত্যন্ত ক্ষোভ এবং ধিক্কারের সঙ্গে সোহম এন্টারটেইনমেন্ট ও টিম LSD (লাল সুটকেস টা দেখেছেন)- র পক্ষ থেকে আমরা জানাচ্ছি যে সেন্সর সার্টিফিকেট না পাওয়ার জন্য নির্ধারিত দিন অর্থাৎ আগামী কাল শুভ মুক্তি হচ্ছে না ছবির।” ওই বিবৃতিতে আরও লেখা হয়, “দীর্ঘদিন আগেই ছবিটি সেন্সর কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হলে, কর্তৃপক্ষের তরফে প্রথমে আমাদের ছবি থেকে সাত – আট টি সংলাপ বদলের কথা বলা হয়, সঙ্গে এও জানানো হয় ছবির টাইটেল ট্র্যাক থেকে এমন কিছু শব্দ রয়েছে যা ব্যবহার করা যাবে না। যদিও ইউটিউবে আমাদের টাইটেল ট্র্যাক সকলে দেখেছেন, এবং আমরা হলফ করে বলতে পারি এই টাইটেল ট্র্যাকে এমন কোনো শব্দ নেই যা সেন্সর করার প্রয়োজনীয়তা ছিল। তা সত্ত্বেও তাদের নির্দেশ অনুযায়ী আগেই সম্পূর্ণ পরিবর্তন গুলি করে আমরা ছবির সেন্সর সার্টিফিকেট এর জন্য আবারও আপিল করেছি, কিন্তু ছবির সেন্সর সার্টিফিকেট না দিয়ে এখন ছবিটির নির্মম ভাবে কণ্ঠ রোধ করতে চাইছেন তারা।”
এর আগে নন্দন নিয়ে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছিল টলিউড। সে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। কিন্তু তৃণমূল যুবনেতা সায়নী ঘোষ ও চন্ডিপুরের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর এই ছবি শেষ পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখার নেপথ্যে কি রয়েছে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি? যদিও সাম্প্রতিক খবর বলছে, মিডিয়ায় সেন্সরের অনুমতি না দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই সক্রিয় হয় সেন্সর বোর্ড। কিছুক্ষণ আগেই তাঁদের শংসাপত্র ইস্যু করা হয়েছে। ছবিটি কাল মুক্তি পাওয়ার ছাড়পত্র মিললেও গোটা ঘটনায় বিরক্ত বিধায়ক সোহম। টিভিনাইন বাংলাকে তিনি বলেন, “সেন্সরের তরফে বলা হয়, ছবিতে রাধে রাধে বলা যাবে না, কৃষ্ণের নাম নেওয়া যাবে না। ওভারডোজ় এবং হ্যালুসিনেশন শব্দ দু’টি ব্যবহার করা যাবে না। আমরা সেই মতো পরিবর্তন করে পাঠাই। তাও কেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখা হল? কেন এই বিড়ম্বনা? কেন আমাদের এভাবে অপেক্ষা করতে হল? কেন ক্ণ্ঠরোধ করতে চাওয়া হচ্ছে”? প্রতিবাদস্বরূপ এ দিন বিকেল ৪ টায়, প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের ডাক দিয়েছে ছবিটির প্রযোজক সোহম ও তাঁর টিম। জল কতদূর গড়ায় এখন সেটাই দেখার।