Sreelekha Mitra: ‘প্রসেনজিতের সঙ্গে নিশ্চয়ই আগামীতে আমি ছবিতে অভিনয় করব, কেন করব না?’ বললেন শ্রীলেখা
Prosenjit Chatterjee: ২০২০ সালে একটি ফেসবুক লাইভে শ্রীলেখা টলিউডে ঘটে যাওয়া স্বজনপোষণ নিয়ে কথা বলেছিলেন। আঙুল তুলেছিলেন প্রসেনজিতের দিকেও।
বছর দুই আগের কথা। ১৪ জুন, ২০২০ সাল। রবিবার ছিল দিনটা। হঠাৎ দুপুরে খবর আছে বলিউডের তরুণ অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু ঘটেছে। আত্মহত্যা না রহস্য মৃত্যু, সেই মীমাংসা এখনও হয়নি যদিও। কিন্তু সুশান্তের মৃত্যুতে তোলপাড় হয়েছিল দেশ। তোলপাড় হয়েছিল বলিউড। সেই আঁচ এসে লেগেছিল টলিউডেও। নেপোটিজ়ম, স্বজনপোষণের মতো ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করে ছিলেন কেউ-কেউ। সেই তালিকায় নাম ছিল অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্ররও। একটি ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেছিলেন, ‘তাঁর সঙ্গে নোংরা রাজনীতি করা হয়েছিল টলিউডে। যে কারণে অনেক কাজ হাতছাড়া হয়েছিল তাঁর।’ সরাসরি স্বজনপোষণের অভিযোগ করেছিলেন অভিনেত্রী। ঘটনায় নাম উঠে এসেছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তদেরও।
চারদিন (১৮.০৯.২০২২) আগে শ্রীলেখা নিজের ফেসবুকে প্রসেনজিতের সঙ্গে তাঁর বেশ কিছু ফটোশুটের ছবি পোস্ট করেন। বৃহস্পতিবার (২২.০৯.২০২২) তিনি পোস্ট করেছেন আরও একটা ছবি। ২০০৭ সালের এনএবিসিতে তোলা সেই ছবিতে একই ফ্রেমে জ্বলজ্বল করছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ, যিশু সেনগুপ্ত, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং স্বয়ং শ্রীলেখা মিত্র। পরপর প্রসেনজিৎকে নিয়ে ছবি পোস্ট করেছেন শ্রীলেখা। তা হলে কি অভিনেত্রীর অভিমানের পারদ নিম্নগামী? তাঁর কি ‘বুম্বাদা’র উপর রাগ কমছে? শ্রীলেখা যদিও TV9 বাংলাকে এর জবাবে বলেছেন, “কোনও কিছু প্রমাণ করতে আমি বুম্বাদার সঙ্গে আমার ছবিগুলো ফেসবুকে পোস্ট করিনি। আমার এক বহুবছরের ফ্যান আছেন। তাঁর নাম রাজা সেনগুপ্ত। এই ছবিগুলির কিছুটা তিনি আমাকে পাঠিয়েছিলেন। এগুলোর একটাও আমার কাছে ছিল না। এখন তো অনেকেই জানেন না যে, আমি ২০০৭-এ এনএবিসিতে গিয়েছিলাম। কিংবা কেউ আগে বুম্বাদার সঙ্গে আমার ফটোশুটের ছবিগুলো দেখেননি। আমার সঙ্গে বুম্বাদার কী সুন্দর পেয়ার ছিল, সেটাও কিন্তু বোঝানোর উদ্দেশ্য আমার ছিল না।”
শ্রীলেখা কি প্রসেনজিতের সঙ্গে ভবিষ্যতে কোনও ছবিতে কাজ করতে আগ্রহী? এই প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী। শ্রীলেখা মিত্র বলেছেন, “প্রসেনজিতের সঙ্গে নিশ্চয়ই আগামীতে আমি ছবিতে অভিনয় করব। কেন করব না? একদম করব। যখন দেখা হবে, প্রসেনজিৎকে বলব, ‘আমার রাগ-অভিমানটা ভুল প্রমাণ করো তো, কিংবা বলো তো আমি মিথ্যে কথা বলেছি কিংবা ভুল বলেছি। একটাও যদি বলো, আমি মাথা পেতে নেব’। প্রসেনজিৎ তো আমার থেকে অনেকটাই সিনিয়র। অনেক ডিজিট্যাল পোর্টাল উল্টোপাল্টা কথা বলেছিল সেই সময়। আমি কিন্তু একবারের জন্যেও বলিনি, প্রসেনজিৎ আমার সঙ্গে প্রেম করতে চেয়েছিলেন কিংবা আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চেয়েছিলেন। তাঁর যাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, তিনি তাঁদের সঙ্গে ছবি করেছিলেন। যেটাকে এখন বলা হয় ‘কমফর্টেবল’। বুম্বাদা ইন্ডাস্ট্রিতে আমার সিনিয়র। এতগুলো বছর ধরে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন। যদি এমন কোনও সিনেমার অফার আমার কাছে আসে, যেখানে অভিনয় করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, আমি ১০০% করব। কিন্তু হ্যাঁ, করব তখনই যদি দেখি আমার চরিত্রটা ভাল কিংবা চিত্রনাট্য ভাল। এই বিষয়কেই আমি প্রথমে প্রাধান্য দেব। অতীতে বুম্বাদার সঙ্গে আমি অনেক ছবিতে অভিনয় করেছি। ২০০০ সালে ‘অন্নদাতা’ সুপারডুপার হিট করেছিল। বুম্বাদা ও আমার পেয়ারটা জনপ্রিয় হয়েছিল খুব। লোকে তো পরের ছবিতে সেই জুটিকে রিপিট করে। আমার ক্ষেত্রে সেটা ঘটেনি।”
সবশেষে শ্রীলেখা যোগ করতে ভোলেননি, “বিশ্বাস করুন, আজকের দিনে সব কিছুর ঊর্ধ্বে আছি আমি। সেইভাবে আমার কোনও রাগ-অভিমান নেই। আমি একটা বেটার স্পেসে আছি। সবচেয়ে বড় কথা অনেকের চেয়ে অনেক শান্তিতে আছি।”