Tarun Majumdar: ‘তাড়াতাড়ি একসঙ্গে ফ্লোরে দেখা হবে, অনেক কাজ বাকি আছে’, তরুণ মজুমদারের আরোগ্য কামনায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
Tarun Majumdar-Rituparna Sengupta: TV9 বাংলার আছে তরুণ মজুমদারের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। খুব তাড়াতাড়ি তাঁর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী।
‘আলো’, ‘চাঁদের বাড়ি’, ‘ভালবাসার বাড়ি’… তরুণ মজুমদারের শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি এই তিনটি। অনেকগুলো বছরের ব্যবধানে তরুণবাবু তৈরি করেছিলেন ছবি তিনটি। আর তিনটি ছবিতেই নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তরুণ মজুমদার অসুস্থ। কয়েকদিন হল তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক। এই খবরটি পেয়ে উদ্বিগ্ন তাঁর কন্যাসমা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। TV9 বাংলার আছে তরুণ মজুমদারের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। খুব তাড়াতাড়ি তাঁর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী।
ঋতুপর্ণা বলেছেন, “তরুণ মজুমদার অসুস্থ এই খবরটি পেয়েছি এবং অত্যন্ত দুশ্চিন্তায় আছি। আমাকে তিনি কন্যাসম স্নেহ করেন। মনটা খুবই ভারাক্রান্ত আছে আমার। মানুষটার সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। একসঙ্গে প্রথম ছবি করেছিলাম ‘আলো’। সেটা একটা বড় জায়গা তৈরি করেছে বাংলা ছবির জগতে। এটা একটা ল্যান্ডমার্ক ছবি। আমরা একসঙ্গে ‘চাঁদের বাড়ি’ করেছি। সেই ছবিটাও একটা স্তম্ভ। সম্প্রতি ওঁর সঙ্গে ‘ভালবাসার বাড়ি’ করেছি। বাংলা সিনেমায় তরুবাবুর অবদান নিয়ে নতুন করে কথা বলার কিছু নেই। সবাই সবটা জানেন। সেই মানুষটাই যখন অসুস্থ হয়ে আছেন, ভীষণ মনটা অস্থির হয়ে আছে। আমি ফোন করেছিলাম। খোঁজও নিয়েছিলাম। ঈশ্বরের কাছে আশা করব যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। আমি যেন ওঁর সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি ফ্লোরে দেখা করতে পারি। এখনও ওঁর সঙ্গে আমার বেশ কিছুটা কাজ বাকি আছে।”
হাসপাতাল থেকে শেষ পাওয়া মেডিক্যাল বুলেটিন অনুযায়ী, “ভাল নেই তরুণ মজুমদার। তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছেন। পরিচালকের ড্রাউজিনেস বা তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাবই চিকিৎসকদের উদ্বেগে রেখেছে। রক্তক্ষরণের মাত্রা কমেছে। অক্সিজেন দেওয়ার মাত্রাও প্রতি মিনিটে আট লিটার থেকে কমে তিন লিটার হয়েছে। টিউবের মাধ্যমে খাওয়া-দাওয়া করছেন। ক্রিয়েটিনিন, ইউরিয়ার মাত্রা বেশি রয়েছে। সঙ্গে দোসর সেপ্টিসেমিয়া (রক্তে সংক্রমণ)। রক্তচাপ কমেছে। তবে ওষুধ দিয়ে বাড়ানোর প্রয়োজন হচ্ছে না।”