Arambagh: গোঘাটে তৃণমূল কর্মীর গলায় ধারাল অস্ত্রের কোপ, বিজেপি বলছে ‘সবটাই ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’

Arambagh: এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় জনার্দনকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্থানীয় কামারপুকুর হাসপাতালে নিয়ে আসেন তৃণমূল কর্মীরাই। পরে অবস্থার অবনতি হলে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

Arambagh: গোঘাটে তৃণমূল কর্মীর গলায় ধারাল অস্ত্রের কোপ, বিজেপি বলছে ‘সবটাই ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’
উত্তেজনা এলাকায় Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 26, 2024 | 12:19 AM

আরামবাগ: তৃণমূল কর্মীর গলায় ধারাল অস্ত্রের কোপ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এলাকায় উত্তেজনা, চলছে পুলিশি টহল। চাঞ্চল্যকর ঘটনা গোঘাটের পশ্চিমপাড়া এলাকায়। তাঁদের কর্মীর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরেছে বিজেপি, এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও অভিযোগের অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। 

সূত্রের খবর, এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন তৃণমূল কর্মী জনার্দন দত্ত। নির্বাচনী প্রচারের জন্য পোস্টার ও ব্যানার লাগানোর প্রস্তুতি পর্ব চলছিল। সেই সময়ে স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ সাঁতরা ও তার ছেলের সঙ্গে জনার্দনের তর্ক-বির্তক শুরু হয়। তাঁদের মধ্যে পুরনো বিবাদ ছিল বলে খবর। অভিযোগ, তর্কাতর্কির সময় হঠাৎই সুভাষ ধারাল অস্ত্র দিয়ে জনার্দন দত্তের গলায় আঘাত করে। তাতে তার গলা কেটে যায়। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্থানীয় কামারপুকুর হাসপাতালে নিয়ে আসেন তৃণমূল কর্মীরাই। পরে অবস্থার অবনতি হলে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। 

তৃণমূল নেতা ফরিদ খান বলেন, জনার্দন আমাদের একনিষ্ঠ কর্মী। ভোট প্রচারের জন্য এলাকায় পোস্টার ও ব্যানার লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেই সময়েই বিজেপি কর্মী সুভাষ সাঁতরা ও তাঁর ছেলে জনার্দনের সঙ্গে অকারণে তর্ক শুরু করে। পোস্টার-ব্যানার কেন লাগানো হচ্ছে তা নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু করে দেয়। তারমধ্যে হঠাৎই জনার্দনের গলা কেটে দেয়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি ও তাঁদের গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি। 

অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি দোলন দাস বলেন, বিজেপি কখনও রক্তের রাজনীতি করে না। যিনি বলেছেন সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছেন। নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আমাদের কিছু কার্যকর্তাকে কেস দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে বিজেপির ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। 

এদিকে জনার্দন দত্তের ভাইপো শুভাশিস দত্ত জানাচ্ছেন, কারা এ কাজ করেছেন তিনি দেখেননি। শুনেছেন একজন গলা চিড়ে দিয়ে চলে গিয়েছে। তবে এ ঘটনায় রাজনীতির যোগ নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।