Sudipta Chakraborty: বিয়েবাড়িতে দেখা হল না ‘ছন্দাদিদি’র সঙ্গে; শাহিদার হয়ে সুরঙ্গনাকে খোলা চিঠি সুদীপ্তার
Surangana Bandhopadhyay: রঘুদার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর শাহিদার চোখ খুঁজতে থাকে ছন্দাদিদিকে, থুড়ি সুরঙ্গনাকে।
পুজোর ঠিক পরে-পরেই, দীপাবলির ঠিক আগে-আগেই বাংলার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল বাঙালি পরিচালক-অভিনেতা এবং নাট্যব্যক্তিত্ব অনির্বাণ ভট্টাচার্যর ছবি ‘বল্লবপুরের রূপকথা’। কিংবদন্তি নাট্যব্যক্তিত্ব বাদল সরকারের নাটক থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয়েছিল এই ছবি। ভূতের দুর্দান্ত গল্প বলে এই ছবি, যে ভূতকে ভালবাসে বাঙালি। তাতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সত্যম ভট্টাচার্য। ছিলেন অভিনেত্রী-গায়িকা সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ছবিটি ছোটরা তো বটেই, মন কেড়েছিল বড়দেরও। ৮ থেকে ৮০র প্রিয় এই ছবি টানা ৮৭ দিন চলে প্রেক্ষাগৃহে। ছবিতে রঘুদা এক ভূত। তাঁর মতোই দেখতে গল্পের নায়ক ভূপতি। তারই প্রেমিকার চরিত্রে সুরঙ্গনা। চরিত্রের নাম ছন্দা। অনেক খুদের মতো রঘুদা-ভূপতি-ছন্দার প্রেমে অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীর কন্যা শাহিদা নীরাও। সম্প্রতি এক বিয়েবাড়িতে গিয়ে রঘুদার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর সে খুঁজে বেড়ায় ‘ছন্দাদিদি’কে। সেই ঘটনার কথাই ফেসবুকে লিখেছেন সুদীপ্তা নিজে।
রঘুদার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর শাহিদার চোখ খুঁজতে থাকে ছন্দাদিদিকে, থুড়ি সুরঙ্গনাকে। সুদীপ্তা লিখেছেন, “দোয়েল মাসির বিয়েতে গিয়ে হঠাৎ দেখা ‘রঘুদা’, ওরফে মিস্টার রয়ের সঙ্গে। বাচ্চা উত্তেজিত। খালি ছন্দাদিদিকে খুঁজছে। ডিয়ার ছন্দাদিদি (সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ফেসবুকে ট্যাগ করে সুদীপ্তা লিখেছেন), আপনি একদিন এসে একটু দেখা করে যাবেন এঁর সঙ্গে। অথবা আপনাকে কোথায় পাওয়া যাবে জানাবেন, বাচ্চা দেখা করতে চায়। খুবই পাগলামি করছে।”
কোভিড পরবর্তীর সময় বাংলা ছবির তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম ‘বল্লবপুরের রূপকথা’ ছবিটি। এই সুপারন্যাচরাল কমেডি ড্রামাটি ১৯৫৪ সালের প্রেক্ষাপটে লিখেছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব বাদল সরকার। বল্লবপুরের রাজপরিবারের এক বংশধরের প্রাসাদ বিক্রির গল্প বলেছিল এই ছবি। সেই প্রাসাদ বিক্রি করার সময় ভূত এসে কীভাবে উপস্থিত হয়, সেই নিয়েই গল্প।