বিয়েতে মুনমুনকে সম্প্রদান করেছিলেন সঞ্জীব কুমার! বলিউডের এই নায়কের সঙ্গে কী সম্পর্ক ছিল সুচিত্রা সেনের?
মুম্বইয়ে সুচিত্রার বাড়ির সামনে প্রযোজক ও পরিচালকদের লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সুচিত্রা সেন, হিন্দি ছবি করলেও, তাঁর মন পড়ে থাকত টলিউডেই। ঠিক সেই সময়ই মুম্বইতে তিন নায়কের সঙ্গে জমে উঠেছিল মহানায়িকার বন্ধুত্ব।

মুম্বইয়ে পা দিয়ে রাতারাতিই যশলাভ করেছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। দিলীপ কুমারের সঙ্গে দেবদাস ছবি করার পর তো সুচিত্রাকে ঘিরে মুম্বইয়ের সিনেমাপাড়াতেও হইচই শুরু হয়ে গিয়েছিল। এমনকী, মুম্বইয়ে সুচিত্রার বাড়ির সামনে প্রযোজক ও পরিচালকদের লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সুচিত্রা সেন, হিন্দি ছবি করলেও, তাঁর মন পড়ে থাকত টলিউডেই। ঠিক সেই সময়ই মুম্বইতে তিন নায়কের সঙ্গে জমে উঠেছিল মহানায়িকার বন্ধুত্ব। দেব আনন্দ, ধর্মেন্দ্র এবং সঞ্জীব কুমার। তবে অন্যান্য দুই নায়কের তুলনায়, সঞ্জীব কুমারের সঙ্গেই তাঁর বন্ধুত্বটা সবচেয়ে বেশি জমে উঠেছিল। রীতিমতো মহানায়িকার আত্মীয় হয়ে উঠেছিলেন সঞ্জীব।
১৯৭৫ সালে মুক্তি পায় সঞ্জীব কুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত আঁধি ছবি। বলিউডে সেই সময় হইচই ফেলে দিয়েছিল এই ছবি। বিতর্কও হয়েছিল প্রচুর। সেই সময় থেকেই সঞ্জীব কুমারের সঙ্গে বন্ধুত্ব শুরু সুচিত্রার। কলকাতায় আসলেই মহানায়িকার সঙ্গে দেখা করতেন সঞ্জীব। একসঙ্গে লাঞ্চ-ডিনারও করতেন। সঞ্জীবকে এতটাই পছন্দ করতেন সুচিত্রা, যে বাড়ির যেকোনও অনুষ্ঠানে অভিনেতাকে নিমন্ত্রণ করতেন। আর মুনমুন সেনের বিয়েতে তো সঞ্জীবের কাঁধে গুরুদায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন সুচিত্রা।
জানা যায়, মুনমুনকে সম্প্রদান করেছিলেন সঞ্জীব। মুনমুনের বিয়েতে এসে, বিয়ের বহু দায়িত্ব নিজে কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। মুনমুনের স্বামী ভরত বর্মনকে পাশে বসিয়ে নিজে হাতে খাইয়েছিলেন সঞ্জীব। জানা যায়, সঞ্জীবকে ‘মোটু’ বলেই ডাকতেন সুচিত্রা। মুনমুনের বিয়েতে সঞ্জীবের দায়িত্ববোধ দেখে সুচিত্রা খুবই খুশি হয়েছিলেন।
১৯৮৫ সালে মারা যান সঞ্জীব। শোনা যায় প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুর খবরে কেঁপে উঠেছিলেন সুচিত্রা। নিজেকে ঘরের ভিতর আটকে রেখেছিলেন তিনি। বন্ধ করেছিলেন কথা বলাও।
