টাকার অভাবে ভেঙে পড়ছেন অমিতাভ, আঁচ পেতেই বড় সিদ্ধান্ত অভিষেকের
Bollywood Gossip: মাঝ পথে বিদেশের পড়া থামিয়ে ফেরত আসতে হয় অভিষেককে। কলেজ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন অভিষেক। ফিরে এসেছিলেন বাবার কাছে। সেই সময় কাজের প্রয়োজনও ছিল। যোগ দিয়েছিলেন প্রযোজনা সংস্থায়। তবে প্রাথমিকভাবে তিনি স্পটবয় কাজই করতে।
৯০ দশকের শেষ। হঠাৎই অমিতাভ বচ্চনের ভাগ্য বদল ঘটে। নিজের প্রযোজনা সংস্থা খুলে বিপদে পড়তে হয় বলিউড শাহেনশাহকে। তিনি ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু…। ক্রমেই ধারদেনায় ডুবতে বসেছিল সংস্থা। দেওয়ালে পিঠ ঠেকার আগেই অনেকে পেয়েছিলেন তার আঁচ। তালিকা থেকে বাদ পড়েননি শাহেনশাহ পুত্র অভিষেক বচ্চনও। মাঝ পথে বিদেশের পড়া থামিয়ে ফেরত আসতে হয় অভিষেককে। কলেজ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন অভিষেক। ফিরে এসেছিলেন বাবার কাছে। সেই সময় কাজের প্রয়োজনও ছিল। যোগ দিয়েছিলেন প্রযোজনা সংস্থায়। তবে প্রাথমিকভাবে তিনি স্পটবয় কাজই করতে।
এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক জানান, সেই সময় অন্দরমহলের অবস্থা কতটা কঠিন ছিল। তাঁর কথায়, ”শুরুতে আমি চা বানাতাম। আমার বন্ধু সিকন্দরের বাবা গৌতম বেরি ছিলেন সংস্থার CEO। তিনি হঠাৎই আমায় নির্দেশ দেন- ‘সেটে এসো। চা বানাতে শুরু করো। আমি প্রশ্ন করেছিলাম, কেন? তিনি বলেছিলেন, চিনির ব্যবহার বেশি হচ্ছে।’ পরবর্তীতে অভিষেককে বিষয়টা ভেঙে বোঝানো হয়, ‘চায়ে চিনির ব্যবহার কমাতে হবে। সেটে চিনির বিল প্রচুর আসছে।’ এমনই ছোট ছোট অনেক কাজ শিখেছিলেন তিনি, তারপর অভিষেকের সহপরিচালক হয়ে ওঠা।
এখানেই শেষ নয়, বাবার সংস্থার জন্য অনেক ঝড় পোহাতে হয়েছে তাঁকে। কাজল-অজয় দেবগণের এক ছবির শুটের সময় বেঞ্চে শুতে হয়েছিল অভিষেককে। নিজের ঘর ছেড়ে দিয়েছিলেন দুই স্টারকে। তবে এই সময়টা খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। এখানেই শেষ নয়, বাবার সংস্থার জন্য অনেক ঝড় পোহাতে হয়েছে তাঁকে। কাজল-অজয় দেবগণের এক ছবির শুটের সময় বেঞ্চে শুতে হয়েছিল অভিষেককে। নিজের ঘর ছেড়ে দিয়েছিলেন দুই স্টারকে।
তবে এই সময়টা খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে সবটাই কাটিয়ে উঠেছিল বচ্চন পরিবার। সেই সময় বলিউডও পেয়েছিল জুনিয়র বচ্চনকে। রিফিউজি ছবি দিয়ে অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয় তাঁর। তবে তখনও অমিতাভ বচ্চন দেনায় ডুবে। পরবর্তীতে সোনি সংস্থার উদ্যোগে ও মহব্বতে ছবির জন্য ঘুড়ে দাঁড়ান বিগ বি। আবারও হাতে আসে টাকা। সবটা ফিরিয়ে দিয়ে ছন্দে ফেরে পরিবার। তবে অভিষেকের কেরিয়ারের শুরুটা মোটেও সুখকর ছিল না।