এখন মরসুম বদলের সময়, এই সময় হুটহাট করে ঠান্ডা লেগে যাওয়াটা খুবই সাধারণ ব্যপার। সর্দি, কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা, ঘরে ঘরে একই সমস্যা। বিশেষ করে বাড়িতে একটা খুদে সদস্য থাকলে তো কথাই নেই। চিন্তা আরও বেশি। ভাইরাল ইনফেকশন বা জ্বর একবার হলেই সুস্থ হতে হতে ৭ দিনের ধাক্কা। আর শরীরের ভিতরের দুর্বলতা কাটতে কাটতে আরও চার-পাঁচ দিনের ব্যপার। তবে ভাইরাল ইনফেকশন বা মরসুম বদলের সময় নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে ভাল ইমিউনিটি সিস্টেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্ন হল এই মরসুমে কী ভাবে বড়িয়ে তুলবেন নিজের ইমিউনিটিকে। তার জন্য কিন্ত প্রয়োজন ডায়েটে সামান্য হেরফের। কেবল তিনটি জিনিস রোজের ডায়েটে থাকলেই চরচরিয়ে বাড়বে ইমিউনিটি। জানেন সেগুলি কী কী?
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড – এতে আছে প্রদাহনাশক বৈশিষ্ট্য। যা অসুস্থতা এবং সংক্রমণের তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে। ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চিয়া বীজ, শণের বীজ, আখরোট, মটরশুটি, পালং শাক এবং তুলসীর মতো খাবার ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাল উৎস। সামুদ্রিক মাছেও এই ধরনের অ্যাসিড থাকে।
ভিটামিন সি – শিশুদের সামগ্রিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য এই ভিটামিন সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি টিস্যু মেরামত করতে এবং কোষগুলিকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বক ভাল রাখতেও উপযোগী এই ভিটামিন। ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বৃদ্ধি করে। কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, কিউই, ব্রকলির মতো খাবারে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস – অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার শরীরকে অতিরিক্ত অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের ইমিউন সিস্টেমকে বাড়িয়ে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। পালং শাক, মিষ্টি আলু, গাজর, আলু, কিউই, ব্লুবেরি এবং রাস্পবেরির মতো খাবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।