Heart Attack Prevention: এই চারটি সহজ উপায় মেনে চললেই আপনি ভয়াবহ হার্ট অ্যাটাকের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকবেন…

TV9 Bangla Digital | Edited By: শোভন রায়

Sep 18, 2021 | 12:13 PM

প্রদাহকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং আপনার হৃদয়কে শক্তিশালী রাখতে আপনি কী করতে পারেন? এই সহজ জীবনধারার পরিবর্তনগুলি গ্রহণ করে দেখুন।

Heart Attack Prevention: এই চারটি সহজ উপায় মেনে চললেই আপনি ভয়াবহ হার্ট অ্যাটাকের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকবেন...

Follow Us

হৃদরোগের জন্য কোলেস্টেরলের চেয়েও প্রদাহ অনেক বেশি দায়ী। অনেকে বিশ্বাস করেন যে উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডই তাদের হার্ট অ্যাটাকের পিছনে একমাত্র কারণ। বেশিরভাগ হার্ট অ্যাটাকের পিছনে প্রধান কারণ হল হৃদযন্ত্রে প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ ক্ষতি। রক্তনালী, এন্ডোথেলিয়াল আস্তরণ, ধমনী এবং আরও অনেক কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেও অনেক হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটে থাকে। স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ ঠিকই কিন্তু কেবল কোলেস্টেরলের মাত্রাই যে হার্ট অ্যাটাকের জন্য দায়ী, তা একেবারেই ঠিক কথা নয়।

প্রদাহকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং আপনার হৃদয়কে শক্তিশালী রাখতে আপনি কী করতে পারেন? এই সহজ জীবনধারার পরিবর্তনগুলি গ্রহণ করে দেখুন।

সাধারণ নিম্নমানের রান্নার তেল থেকে ঠান্ডা-চাপা তেলগুলিতে স্যুইচ করুন: পরিশোধিত তেলগুলি অত্যন্ত প্রদাহজনক এবং আপনার হৃদয়ের জন্য ক্ষতিকারক হয়। শুধু কিছু টাকা বাঁচাতে পরিশোধিত তেল ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আপনার হার্টের সুস্থতা বাড়ানোর জন্য সঠিক মানের তেল বেঁছে নিন। এতে আপনার কিছু অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে পারে, কিন্তু মনে রাখবেন, আপনার স্বাস্থ্য অল্প কিছু টাকার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

হার্ট অ্যাটাক থেকে নিজেকে বাঁচান

একটি সক্রিয় জীবনধারা নির্বাহ করুন: যদি আপনি একটি সব সময় ব্যায়াম করায় অভ্যস্ত না থেকে থাকেন, তাহলেও সব সময় সক্রিয় থাকুন। হাঁটা এবং যোগব্যায়াম সবচেয়ে কার্যকর ব্যায়ামগুলোর মধ্যে পড়ে। আপনি যদি মজাদার ব্যায়াম উপভোগ করেন সেগুলোও বেঁছে নিতে পারেন। আসল কথা হল আপনার শরীরকে সব সময় সচল রাখতে হবে। যেসব মানুষ স্থির জীবন যাপন করেন, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

সমস্ত ঘটনাকে হৃদয়গ্রাহী করে তোলার দরকার নেই: যে কোনও ঘটনাতেই খুব বেশি ভাবুক হয়ে যাবেন না। তাতে স্ট্রেসের পরিমাণ বাড়তে পারে। একজন সুখী ব্যক্তিকে স্ট্রেসড ব্যক্তির থেকে আলাদা করে দেয় তাদের মানসিক চাপ। যতটা পারবেন নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখুন। আপনি স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ক্লাসে চাইলে যোগদান করতে পারেন। আপনার আত্ম-মূল্য তৈরি করুন। একটি সুন্দর অভ্যন্তরীণ জগত তৈরি করুন যা আপনাকে বাহ্যিকভাবেও অনেক হাসি খুশি রাখতে সাহায্য করবে।

আপনার ঘুমের রুটিন ঠিক করুন: আপনার শরীর কেবল বেঁচে থাকার বিষয়ে চিন্তা করে। মনে রাখবেন, আপনার ঘুম আপনার হৃদয়ের স্বাস্থ্যের সবচেয়ে ভাল ওষুধ। এর দীর্ঘস্থায়ী অবহেলা আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। ঘুমের অভাব আপনার ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আপনাকে টাইপ -২ ডায়াবেটিসের দিকে ঠেলে দেয়। সুতরাং, একটি নির্দিষ্ট ঘুমের সময়সূচী গ্রহণ করুন এবং প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার একটা গভীর ঘুম দিন।

আরও পড়ুন: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই ভিটামিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ!

আরও পড়ুন: করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর গলব্লাডারের সমস্যা! করোনার ভেল্কিতে বাড়ছে উদ্বেগ

Next Article