ডিম হল সুপারফুড। এই খাবারের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। যে কারণে রোজ একটা ডিম খেলে অনেকখানি পুষ্টির চাহিদা মেটানো যায়। ডিমের মধ্যে থাকে প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থও। তবে ডিম কী ভাবে খাওয়া উচিত, সারাদিনে কটা ডিম খাওয়া যেতে পারে, ডিমের কুসুম খাওয়া আদৌ ঠিক নাকি, ডিম কী ভাবে খেতে হবে এই নিয়ে সকলের মনেই অনেক রকম প্রশ্ন থাকে। ডিমের মধ্যে থাকে ৯ টি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড। আর তাই রোজ ডিম খাওয়া দরকার। এই সব প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীর নিজের থেকে তৈরি করতে পারে না। পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমের প্রোটিনকে বলা হয় ‘উচ্চ মানের প্রোটিন’। একটি সম্পূর্ণ ডিমে প্রায় ৬.৩ গ্রাম প্রোটিনের পাশাপাশি বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে।
ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ডিম খুব ভাল। কম গ্লাইসেমিক যুক্ত খাবারের মধ্যে থাকে ডিম। আর তাই ডিম রক্তশর্করা বাড়ায় না। ডায়াবেটিসের রোগীরা তাই রোজ ডিম খেতে পারেোন।
অনেকেই ভাবেন ডিমের কুসুম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে। ডিমের কুসুমে লিপিড স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। এছাড়াও থাকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা ভাল কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ রাখে নিয়ন্ত্রণে। টেস্টোস্টেরন তৈরি করতেও কাজে আসে ডিম। সেই সঙ্গে পেশীর গঠনে, শরীরের শক্তি বজায় রাখতে ভূমিকা রয়েছে ডিমের।
ওজন কমাতেও সাহায্য করে ডিম। আর তাই ডিম খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। একটা ডিমের মধ্যে ৮০-১০০ ক্যালোরি থাকে। আর তাই ডিম খেলে বিপাক ক্রিয়া বাড়ে। বিপাক ক্রিয়া বাড়লে ওজন নিজের থেকেই কমবে। তবে রোজ ডিম খেলেই যে পেটের চর্বি কমে যাবে এরকম কোনও প্রমাণ নেই।
ডিম খাওয়ার সবচাইতে ভাল সময় হল ব্রেকফাস্ট। ব্রেকফাস্টে রোজ একটা করে ডিম খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। সারাদিনের মোট শক্তির অনেকটাই আসে ডিম থেকে। ডিম আমাদের মেটাবলিজম বাড়ায়। একজন সুস্থ মানুষ সারাদিনে ২ টো ডিম খেতে পারেন।
ডিম খাওয়ার সবচাইতে ভাল উপায় হল অমলেট, সিদ্ধ বা স্ক্র্যাম্বেলড এগ। যদি ওজন কমানোর চটেষ্টা করেন তাহলে যে কোনও ভাবে ডিম খেতে পারেন। এছাড়াও ডিম দিয়ে বিভিন্ন খাবারও বানিয়ে নিতে পারেন। ডিমের সঙ্গে ডাল, ব্রকোলি, পালং শাক এসব খেলে বেশি উপকার পাবেন। আর ডিম রান্না করার সময় একদম কম তেল ব্যবহার করবেন।