দীর্ঘদিন গৃহবন্দি, লকডাউন, ওয়ার্ক ফ্রম হোম- সব মিলিয়ে মানুষের জীবনে অনেক রকম পরিবর্তন এসেছে। চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি থেকে অনেকেই মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত। আবার অনেকেই এই সময়টা নিজের মতো করে কাজে লাগিয়েছেন। নিজের পুরনো শখ যেমন ঝালিয়ে নিয়েছেন তেমনই অনেকে আবার নতুন কিছু শিখেছেন। যেমন, যিনি কস্মিনকালেও রান্নাঘরে ঢোকেননি এই লকডাউনে তিনিই শেফ হয়ে গিয়েছেন।
আবার কেউ মন দিয়েছেন শরীরচর্চায়। কারোর ক্ষেত্রে বাড়ির রান্নাঘরই হয়ে উঠেছে আস্ত ল্যাবরেটরি। ফল স্বরূপ ওজন বেড়েছে তরতরিয়ে। মন খারাপের দাওয়াই হিসেবে অনেকেই বেছে নিয়েছেন খাওয়াদাওয়া। মুচমুচে মুথরোচক আহার মানেোই কিন্তু তা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। সদ্য শেষ হয়েছে পুজোর মরশুম। পুজোর সময়ও ডায়েট করেন এমন মানুষের দেখা পাওয়া ভার।
পুজো মিটতেই বাতাসে শীতের আভাষ। আর শীত মানেই বিযেবাড়ি, পিকনিক, পার্টি। পছন্দের পুরনো জামা আলমারি থেকে বার করতে গিয়ে দেখলেন কোনও ভাবেই তা আঁটছে না শরীরে। অগত্যা উপায়? পণ করলেন কাল সকাল থেকেই শুরু শরীরচর্চা। তবে শুধু শরীরচর্চা করলেই হবে না, সেই সঙ্গে মেনে চলতে হবে ডায়েট টিপসও। ব্রেকফাস্টের সঙ্গে রাখুন এই পাঁচ পানীয়। এতে মেটাবলিজম বাড়বে, সেই সঙ্গে ওজনও কমবে তাড়াতাড়ি। ওয়ার্ক আউটের পর এই ড্রিংক খেতে পারলে আরও ভালো। দেখে নিন ওজন ঝরাতে কোন কোন পানীয় অবশ্যই রাখবেন আপনার ডায়েটে।
কফি- অনেকেই দিন শুরু করেন কফিতে। আর তাই যদি আপনি ডায়েট করার কথা ভাবেন তবে অবশ্যই তালিকায় প্রথম পছন্দ হোক কফি। দুধ, চিনি দেওয়া কফি কিন্তু একেবারেই চলবে না। চিনি ছাড়া কালো কফি খাওয়ার অভ্যাস করুন। চিনি খেলে ক্যালোরি যেমন বাড়ে সেই সঙ্গে আরও অনেক রোগকে ডেকে আনে। তবেো দিনে চিনি ছাড়া কালো কফি দু কাপের বেশি না খাওয়াই ভালো। এক্সসারসাইজের পর অতিরিক্ত ব্ল্যাক কফি খেলে ঘুম কম হয়।
গ্রিন টি- ওজন কমানোর জন্য খুবই জনপ্রিয় হল গ্রিন টি। যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন তাঁদের প্রত্যেকের ডায়েটেই থাকে গ্রিন টি। গ্রিন টি নিয়ম করে খেতে পারলে কিন্তু ওজন কমে। সমীক্ষা বলছে এক্সসারসাইজ শুরু করার আগে এক কাপ গ্রিন টি খেতে পারলে ভালো। এছাড়াও চলতে পারে ওলং টি, হিবিসকাস টি। গ্রিন টি কিন্তু চিনি ছাড়া খাবেন। দরকার হলে সামান্য মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে গ্রিন টি ব্যাগের থেকে চা পাতা অনেক বেশি ভালো।
ইনফিউসড ওয়াটার- যদি এই ডিটক্স ওয়াটারে দিন শুরু করতে পারেন তাহলেও কিন্তু তা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। ডিটক্স ড্রিংক অনেক কিছু দিয়েই বানানো যায়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে লেবু, পুদিনা, আপেল, দারচিনি দিয়ে বানানো ড্রিংক খুব ভালো ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করে।
ভেজিটেবল অথবা ফ্রুট জুস- একগ্লাস টাটকা সবজি অথবা ফলের জুসের উপকারিতা অনেক। সেই সঙ্গে মেটাবলিজম বাড়াতেও সাহায্য করে। গাজর, বিট একসঙ্গে মিশিয়ে জুস বানিয়ে নিন। এবার এর সঙ্গে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। আপেল, কমলালেবু, তরমুজ এসব একসঙ্গে মিশিয়ে জুস বানিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।
স্মুদি- অনেকেই ওটস, কলা দিয়ে স্মুদি বানিয়ে ব্রেকফাস্টে খান। দুধ, ওটস, আমন্ড, কলা, সবেদা, আপেল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ইচ্ছে হলে স্মুদিতে প্রোটিন পাউডার কিংবা পিনাট বাটারও দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: Diet Plan: আর মাত্র কদিন পরই বিয়ে? সুস্থ থাকতে হবু পাত্রীদের জন্য রইল বিশেষ ডায়েট চার্ট