Diet Plan: আর মাত্র কদিন পরই বিয়ে? সুস্থ থাকতে হবু পাত্রীদের জন্য রইল বিশেষ ডায়েট চার্ট
Pre-Wedding Diet: বাইরের খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন, প্রতিদিন বেশি করে জল খান
বিয়ের দিন সবার কাছেই খুব স্পেশ্যাল। এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন প্রায় সব মেয়েই। বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকে প্ল্যানিং। কারণ সবাই চান, বিয়ের দিন তাঁকেই যেন সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগে। ফলে এই দিন কেমন পোশাক পরবেন, কেমন করে নিজেকে সাজাবেন, কী রঙের শাড়ি হবে, বিয়ের থিম, ডেকোরেশন, ভেন্যু এই সবকিছু নিয়ে একটা লম্বা পরিকল্পনা থাকে। তবে একটা বিয়েবাড়ি মানে কিন্তু হাজারো ঝক্কি। কেনাকাটা, অতিথি তালিকা তৈরি এসব ছাড়াও থাকে আরও নানা কাজ। বিয়ের আগে থেকেই হবু পাত্র-পাত্রীর বেশ কিছু আইবুড়োভাতের নিমন্ত্রণ থাকে। আর তাই জাঙ্ক ফুড, তেল-মশলা জাতীয় খাবার এসব একটু বেশিই খাওয়া হয়। এসব বাদ দিলেও বিয়ের মেগা ইভেন্ট নিয়ে সবারই একটা চিন্তা তো থাকেই। বিয়ের আগের দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় নানা অনুষ্ঠান। এছাড়াও এদিন অনেকটা সময় উপোস করে থাকতে হয়। আর তাই বিয়ের দিন মেকআপের পরও অনেকের মুখ বেশ শুকনোই লাগে।
বিয়ের ছবি থেকে যায় আজীবন। তাই বিয়ের আগে মুখের আর কোমরের ফ্যাট ঝরাতে পারলে খুবই ভালো। এতে ছবিও ভালো ওঠে। দোরগোড়ায় অঘ্রাণ। শুরু হচ্ছে বিয়ের মরশুম। তাই হবু পাত্রীদের জন্য রইল বিশেষ ডায়েট টিপস। আগে থেকে মেনে চললে তরতাজা লাগবে বিয়ের দিনে।
ক্র্যাশ ডায়েট কিন্তু নয়
দ্রুত ওজন কমাতে অনেকেই ক্র্যাশ ডায়েটের ভরসায় থাকেন। কিন্তু ভুলেও এই ডায়েট নয়। এতে শরীরের ক্ষতি হয়ট। আচমকা পরিবর্তনে শরীর ভেতর থেকে ভেঙে যায়। সেই সঙ্গে মনের উপরেও চাপ পড়ে। আর তাই প্রথমেই এই ডায়েট একদম নয়। বরং সুস্থ থাকুন, শরীরচর্চা করুন আর সুষ্ম আহার করুন। এতেই কিন্তু ওজন কমবে তাড়াতাড়ি।
যা কিছু অবশ্যই মেনে চলবেন
প্রতিদিন ৭.৩০-এর মধ্যে ডিনার সেরে ফেলুন।
প্রতিদিন অন্তত ৪৫ মিনিট শরীরচর্চা করতেই হবে। সেই সঙ্গে ৩০ মিনিট ব্রিস ওয়াক করতে পারলে ভালো।
তিন ঘন্টা অন্তর ছোট মিল খান।
বিয়ের আগে অন্তত এক মাস বাইরের খাবার না খেলেই ভালো।
প্রতিদিন ১০ গ্লাস জল অবশ্যই খাবেন।
অ্যালকোহল একদম নয়।
মন থেকে খুশি থাকুন।
জল বেশি করে খেতে হবে
শরীরকে আর্দ্র রাখা একান্ত জরুরি। আর তাই প্রতিদিন জল বেশি করে খান। সেই সঙ্গে স্যুপ, ডাবের জল, ফলের রস এসবও রাখুন খাদ্য তালিকায়। সবজি দিয়ে ডিটক্স ড্রিংকও বানাতে পারেন। দুপুরের খাবারের পর একগ্লাস জলে লেবু দিয়ে খেলেও কিন্তু ভালো ফল পাবেন।
পুষ্টিকর খাবার খান
শীতকালে বাজারে প্রচুর রকম সবজি পাওয়া যায়। এই দিয়ে ওটস, ব্রাউন ব্রেড, ডালিয়া কিংবা ব্রাউন পাস্তা বানিয়ে নিতে পারেন। স্যালাড বানিয়ে খান। শাক সবজি যত বেশি খেতে পারবেন ততই ভালো। এছাড়াও ফল, ডাল, কাবুলি চানা, রাজমা এসবও রাখুন ডায়েটে। শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি, খনিজ কিন্তু পাওয়া যায় এই সব খাবার থেকেই।
সাদা জিনিস এড়িয়ে চলুন
সাদা খাবারের মধ্যে চিনি, ময়দা এবং চাল একেবারেই এড়িয়ে চলুন। এই তিন খাবার যদি চিরতরে ছেড়ে দিতে পারেন তাহলে শরীর খুবই ভালো থাকে। সুগারের সমস্যাও আসে না। ওজন বাড়াতে এই তিন সাদা খাবারের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
স্যালাড খান
স্যালাড খেলে যেমন অনেকক্ষণ পেট ভরতি থাকে তেমনই প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পাওয়া যায় স্যালাড থেকে। স্যালাডের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই সময় গাজর, বিট, বিনস, বাঁধাকপি, কড়াইশুঁটি সবই বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। পছন্দের এই সব সবজি দিয়ে বানিীয়ে নিন স্যালাড।
ফল খান
প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ফল খান। শীতে বাজারে প্রচুর রকম ফল পাওয়া যায়। সব রকম ফল মিশিয়ে একসঙ্গে ফ্রুট স্যালাডও বানিয়ে নিতে পারেন। টকদই আর বেদানা একসঙ্গে মিশিয়ে খান। প্রতিদিন অন্তত ৩ থেকে ৪টে করে আমন্ড খান। এছাড়াও টমেটো, স্ট্রবেরি এসবও অবশ্যই রাখবেন রোজকার ডায়েটে।