ছোট থেকেই সকলকে শেখানো হয় দাঁত ব্রাশ করতে। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রাথমিক কর্তব্য দাঁত ব্রাশ করা। নিয়মিত ব্রাশ করা হল প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি। নিজের শরীর পরিষ্কার থাকলো তবেই সুস্থ থাকা যায়। নিজে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে তবে মন ভাল থাকে। শরীর সুস্থ থাকে। সুস্থ জীবনযাপন মেনে না চললে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রতি পদে থাকে। বেশিরভাগই রোজকার এই ব্রাশ করাকে কাজ হিসেবে দেখেন। অনেকে এমনো থাকেন যাঁরা চান কোনও ভাবে ব্রাশ করা এড়িয়ে যেতে। কোনও রকমে স্নান করে নিলেই শান্তি। অনেকে ভীষণ দায়সারা ভাবেও ব্রাশ করেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দিনের মধ্যে অন্তত ২ বার ব্রাশ করতেই হবে। সারাদিনে অন্তত ৫ বার আমরা খাবার খাই। ফলে যাবতীয় খাবারের টুকরো, ময়লা জমে থাকে। সেই সঙ্গে দাঁতের উপরেও একটা আস্তরণ পড়ে। দাঁতের উপর এইভাবে ময়লার আস্তরণ জমতে থাকলে সেখান থেকে দাঁতের ক্ষয়, মাড়ির রোগ এসব হতেই থাকে। এছাড়াও নিয়মিত ব্রাশ না করলে সেখান থেকে হতে পারে মৃত্যুও।
ব্রাশ না করলেই বাড়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। সম্প্রতি একটি সমীক্ষা বলছে, দিনের মধ্যে অন্তত ৩ বার ব্রাশ না করলে সেখান থেকে বাড়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। দাঁতের রোগ যদি জাঁকিয়ে বসে তাহলে সেখান থেকে রক্তশর্করা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
ইউরোপীয় জার্নাল অফ প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা দিনে অন্তত তিনবার দাঁত ব্রাশ করেন তাদের অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন এবং হার্ট ফেলিওরের সম্ভাবনা অনেক কম ছিল।
নিয়মিত ভাবে ব্রাশ না করলে ক্যাভিটি হতে বাধ্য। কারণ যাবতীয় ময়লা, খাবারের টুকরো সব দাঁতের তলায় জমা হতে থাকে। ক্রমশ দাঁতের মাড়িকে আক্রমণ করে। নিয়মিত ভাবে পরিষ্কার না করলেই তখন দাঁতে গর্ত হবেই। দাঁতে ক্যাভিটি হলে সংক্রমণ বাড়ে সেখান থেকে দাঁতও ভেঙে যায় পরবর্তীতে।
নিয়মিত ধূমপান করেন অথচ ব্রাশ ঠিকমতো করেন না তাহলে ক্যানসার হতে বাধ্য। মুখের ক্যানসার, মাড়ির ক্যানসার, দাঁতের ক্যানসার যে কোনও একটি হতেই পারে। এছাড়াও হতে পারে পেটের ক্যানসারও। যে কারণে বিশেষজ্ঞরা সব সময় বলেন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ব্রাশ অবশ্যই করবেন।
দাঁতের ক্যাভিটি থেকে হতে পারে আলসারও। মাড়ির আলসার তো হয়ই সেখান থেকে যে সব ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় সেখান থেকে পেটের আলসারও হতে পারে। ক্রমাগত পেট খারাপ, বদহজমের কারণও কিন্তু এই দাঁত ব্রাশ না করা।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।