High Cholesterol Diet: ৫ ফলেই বাজিমাত! প্রতিদিনের ডায়েটে রাখলেই তরতর করে কমবে কোলেস্টেরল

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Sep 07, 2022 | 9:37 AM

Cholesterol Level: বয়স বাড়ছে মানেই রক্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে মন্দ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডস-এর সমস্যা। কোলেস্টেরলের বৃদ্ধি মানেই হার্ট, স্ট্রোক, কিডনি ডিজিজ, চোখের রোগের আশঙ্কাও বেড়ে যাওয়া। অতএব অবাধ্য কোলেস্টেরলকে বাগে আনতে হলে খেতেই হবে অত্যন্ত পুষ্টিকর এই পাঁচ ফল। জানাচ্ছেন ডায়েটিশিয়ানরা।

High Cholesterol Diet: ৫ ফলেই বাজিমাত! প্রতিদিনের ডায়েটে রাখলেই তরতর করে কমবে কোলেস্টেরল

Follow Us

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কোলেস্টরলের বাড়বাড়ন্তে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ মানে তা শুধুমাত্র হার্টের সমস্যা নয়। কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ-এর অধীনে পড়ে স্ট্রোক, চোখ, কিডনির সমস্যাও! প্রশ্ন হল কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে হয়টা কী? সাধারণভাবে বলা যায়, দেহে মন্দ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে ধীরে ধীরে এই চর্বিজাতীয় পদার্থ এবং অন্যান্য অপদ্রব্য একসঙ্গে জমা হতে থাকে রক্তবাহী নালীর অন্দরের গাত্রে। দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের চর্বি ও অপদ্রব্য জমার কারণে (প্লাক) রক্তবাহী নালী হয়ে পড়ে অনমনীয় এবং শক্ত। এই ঘটনাকে বলে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস।

অ্যাথেরেস্ক্লেরোসিস যে শুধুই হার্টের করোনারি আর্টারিতে হয় এমন ভাবলে ভুল হবে। তা হতে পারে চোখ, ব্রেন, কিডনির রক্তবাহী নানা সূক্ষ্ম নালিকাতেও। ফলে বেড়ে যায় রেটিনাপ্যাথি, স্ট্রোক এবং কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। এছাড়া রক্তে স্বাভাবিক মাত্রার চাইতেও বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকলে তা রক্তচাপ বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। অর্থাৎ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ মানেই তা শুধু হার্টের সমস্যা নয়। তাই প্রথম থেকেই অর্থাৎ অল্প বয়স থেকেই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপর জোর দিতে হবে। প্রশ্ন হল তা কীভাবে করা যেতে পারে? এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারেন ডায়েটিশিয়ানরা। তাঁরা বলছেন উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এমন খাদ্য গ্রহণের মাত্রা বাড়াতে হবে। কারণ, দেখা গিয়েছে রক্তবাহী নালীতে জমে থাকা ‘প্লাক’ ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিনের।

ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন, অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালোরি রয়েছে এমন খাদ্য সবসময় পরিহার করা উচিত। উদাহরণ হিসেবে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাটজাতীয় খাদ্য খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে যায়। এক্ষত্রে অনেকেরই মনে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। কারণ বহু লোকের ধারণা, ফল আসলে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য। ফলে ফল খেলে দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে বলে ভয়ও পান অনেকে।

বরাভয় দিচ্ছেন চিকিৎসক ও ডায়েটিশিয়ানরা। তাঁদের মতে, ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন। এছাড়া রয়েছে ফাইবার। তাই বেছে বেছে ফল খেলে তা অপকারের বদলে উপকার বেশি করে। প্রশ্ন হল কোন কোন ফল খাওয়া উচিত? দেখা যাক—

টম্যাটো: চমকে যাওয়ার কিছু নেই। টম্যাটোকে বহু গবেষক ফল হিসেবেই মান্য করছেন। অথবা বলা যায়, ফল ও সবজির মিশেল হল টম্যাটো! সংশয় সরিয়ে রেখে দেখা যাক, কী কী উপকারী উপাদান রয়েছে টম্যাটোয়। টম্যাটোয় রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি এবং কে। ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন, এই ভিটামিনগুলি হল হার্টের বন্ধু। এই ধরনের পুষ্টি উপাদানগুলি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমিয়ে দিতে পারে।

পেঁপে: প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে পেপেঁয়। ফাইবার কিন্তু একইসঙ্গে যেমন রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে তেমনই খাবারে থাকা ফ্যাটকেও শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রাও থাকে নিয়ন্ত্রণে।

অ্যাভোকাডো: কেলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে এই ফলটি দুর্দান্ত কার্যকরী। অ্যাভোকাডোয় রয়েছে ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, নিয়াসিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, পাইরিডক্সিন, ভিটামিন সি ইত্যাদি। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, ভিটামিন সি নিজেই একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে নিয়মিত অ্যাভোকাডো খেলে তা এলডিএল বা মন্দ কোলেস্টেরলের মাত্রা যেমন কমায় তেমনই বাড়ায় এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা।

আপেল: এই ফলের মধ্যে ‘খাস্তা’ একটা ব্যাপার রয়েছে। ফলে আপেল খেতে বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেই ভালোবাসে। এছাড়া আপেলে থাকে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে শুধু যে কোলেস্টেরল কমায় তাই নয়, তার সঙ্গে ত্বক চুলের জন্যও উপকারী।

সাইট্রাস ফ্রুট: কমলালেবু, পাতিলেবু, মুসাম্বি, বাতাবি লেবু, আমলকী হল সাইট্রাস ফ্রুট-এর উদাহরণ। এই ধরনের ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি একদিকে যেমন রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, তেমনই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।

Next Article