রোজকার জীবনে চাপ বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যস্ততাও। ফলে ডায়াবেটিস, প্রেশার, কোলেস্টেরলের মত শরীরে জাঁকিয়ে বসছে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাও। ইউরিক অ্যাসিড আমাদের রক্তেই থাকে। শরীরের পিউরিন ভেঙেই তৈরি হয় এই ইউরিক অ্যাসিড। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে পায়ের পাতা ফুলে যায়, হাঁটতে সমস্যা হয়। একই সঙ্গে কিডনিরও সমস্যা দেখা যায়। কিডনিতে পাথর হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে সেখান থেকে গাঁটের ব্যথাও কিন্তু বাড়তে পারে।
তাই রক্ত পরীক্ষায় যদি এই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা প্রথম থেকেই বাড়ন্ত থাকে তাহলে সতর্ক হতে হবে আপনাকে। রোজকার ডায়েটে পরিবর্তন আনতে হবে। শরীরে দীর্ঘদিন ধরে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থেকে গেলে সেখান থেকে জটিল কিডনির অসুখ আসতে বাধ্য। দীর্ঘস্থায়ী কিডনির সমস্যা হতে পারে। যে কারণে আগে থেকেই সতর্ক হন। খাদ্যাভ্যাসে আনুন পরিবর্তন।
লেবুর জল- লেবুর মধ্যে থাকে সাইট্রিক অ্যাসিড। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে ইষদুষ্ণ জলে লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে ভিটামিন সি শরীরে যায়। সমস্যাও কমে। এছাড়াও রোজ যে কোনও একটা ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল যেমন আমলা, লেবু বা পেয়ারা খান।
টকদই- রোজ বাড়িতে পাতা একবাটি করে টকদই খান। যদি লো ফ্যাট মিল্ক থেকে তা বানিয়ে নিতে পারেন তাহলে আরও ভাল। নিয়ম করে এই দুধ আর দই খেলেও এই সমস্যার হাত থেকে অনেকখানি রেহাই পাওয়া যায়।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার- ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় খুব ভাল কাজ করে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার। একগ্লাস গরম জলে ছোট তিন চামচ এই ভিনিগার মিশিয়ে খান। সব সময় খালি পেটে খাবেন এই ভিনিগার। এর মধ্যে থাকে ম্যালিক অ্যাসিড। যা দ্রুত ইউরিক অ্যাসিডকে ভেঙে দেয়।