জীবন যেন এখন রোগ সর্বস্ব। বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে জীবন যেমন এগিয়েছে তেমনই এসে জুটেছে নানা রোগ সমস্যা। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ওবেসিটি, হাইব্লাড প্রেসারের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। যত দিন গড়াচ্ছে ততই যেন বাড়ছে এই সব রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। আজকাল বাড়ির খাবার অধিকাংশই পছন্দ করেন না। বাইরের খাবার, তেল-মশলাদার খাবার, ফাস্টফুড এসবই বিশেষ পছন্দ। আর এসব খাবার বেশি খাওয়ার ফলে চাপ পড়ছে লিভারের উপর আর সেখান থেকে আসছে একাধিক সমস্যা। লিভার একবার বিগড়ে গেলে খুব মুশকিলের। কারণ শরীরের পাওয়ার হাউস হল লিভার। আর তাই প্রথম থেকে লিভারের যত্ন নিতে হবে।
ফ্যাটি লিভারের সমস্যাতেও আজকাল অনেকেই জর্জরিত। এর মধ্যে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সমস্যা সবচাইতে বেশি। মূল বেশি ক্যালোরির খাবার খাওয়া, রোজ মাংস, বিরিয়ানি, কোল্ডড্রিংক খাওয়া, মাখন, চিজ বেশি খেলেই এই সমস্যা বেশি হয়। লিভারে ফ্যাট বেশি জমে। লিভারে ফ্যাট জমলে সেখান থেকে লিভার অফ সিরোসিস হতে পারে। তাই আগে থেকে সাবধানে থাকা ভাল। লিভারের সমস্যা হলে ডায়েট মেনে চলতেই হবে। সেই সঙ্গে এড়িয়ে চলুন এই সব খাবারও।
ঘি, মাখন- ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হলে আগেই তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে ঘি আর মাখন। এই দুই খাবার শরীরের জন্য খুব যে উপকারী তা যেমন নয় তেমনই হজম করতেও বেশি সময় লাগ্। এর মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে তা সরাসরি লিভারে জমা হয়। যে কারণে মাখন যত কম খাবেন ততই ভাল। এমনকী রোজ চিজ, মেয়োনিজ এসবও খাবেন না।
ডিপ ফ্রায়েড ফুড– তেলে ভাজা খেতে ভাল কিন্তু শরীরের জন্য তা একরকমের বিষ। বাইরের যে কোনও খাবারই দুবো তেলে ভাজা হয়। চপষ শিঙাড়া, পকোড়া, ফিশ ফ্রাই সব। আর তাই এসব খাবার খেতে বেশি ভাল লাগে। লিভারের জন্য এই সব খাবার খুবই খারার। তেল তো বেশি থাকেই পাশাপাশি এই তেলের জন্য শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণও বেড়ে যায়। তাই ডিপ ফ্রায়েড ফুড এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
মাটন- খেতে ভাল, মাটন বিরিয়ানি থেকে চাঁপ সকলেরই খুব পছন্দের। তবে সুস্থ থাকতে চাইলে পাঁঠার মাংস একেবারেই চলবে না। সুগার, কোলেস্টেরল এই দুই বাড়বে। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি পরিমাণে থাকে। আর তাই মাটন এবার বাদ দিন। খুব ইচ্ছে করলে মাসে এক পিস খেতে পারেন।
মদ্যপান- লিভারের জন্য সবথেকে খারাপ হল মদ্যপান। মদ আর মাংস তো একেবারেই একসঙ্গে চলবে না। মদ্যপান করলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা যেমন বাড়বে তেমনই কমবে আয়ু। আর তাই নিজের শরীরের যত্ন নিন। সচেতন হন। লিভার অফ সিরোসিসের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে আজই রাশ টানুন ডায়েটে।