হৃৎপিণ্ড যদি শরীরের হে়ডঅফিস হয় তো লিভার হল পাওয়ারহাউস। সুস্থ থাকতে আগে পেট ঠিক রাখতে হবে। আর এই পেট ঠিক রাখার কাজ করে লিভার। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় শক্তি আসে খাবার থেকেই। অতিরিক্ত তেল-মশলাদার খাবার খেলে চাপ পড়ে লিভারের উপর। হজম হতে চায় না বা হজম হলেও অনেকটা বেশি সময় লেগে যায়। সেই সঙ্গে পেট খারাপ, পেট ব্যথা এসব তো থাকেই। সারাদিন লিভার আমাদের অজান্তেই অনেক কাজ করে চলে, যে কারণে শরীর সুস্থ থাকে। আর তাই লিভারের কথাও ভাবতে হবে। সেই সঙ্গে পাকস্থলী, ফুসফুস অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখাও ভীষণ রকম জরুরি। এছাড়াও লিভার ভাল রাখতে নিয়মিত ওয়ার্কআউট, ডায়েট মেনে চলাও দরকার।
সম্প্রতি পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে,পরিপাকতন্ত্র পাওয়ার হাউস হিসেবে কাজ করে। রক্ত থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিয়ে হজম প্রক্রিয়া শক্তিশালী করে। এছাড়াও ভিটামিন সঞ্চয় করতে সাহায্য করে ভিটামিন। এছাড়াও ডায়েটে আরও বেশ কিছু খাবার রাখার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ।
গমের শাক
গমের শাকে প্রচুর পরিমাণ ক্লোরোফিল থাকে। যা শরীর থেকে দূষিত টক্সিন বের করে দিতে সাহাযিয করে। এতে লিভার ভাল থাকে। সুস্থ থাকে। ঠিক ভাবে কাজ করতে পারে।
বিটজুস
বিটজুসের মধ্যে নাইট্রেটের পরিমাণ বেশি। বিটরুটে বেটালাইনস নামে একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে,যা লিভারকে প্রদাহ জনিত সমস্যা থেকে দূরে রাখে। এছাড়াও বিটরুট শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে এনজাইমের পরিমাণও বাড়ায়।
লাল আঙুর
লাল বা কালো আঙুরের মধ্যে রেসভেরাট্রলের মতো উপাদান থাকে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়াতে কাজ করে। এছাড়াও চলতে পারে বাতাবি লেবুর রস।
বাদাম
আখরোট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। আখরোটের মধ্যে থাকে ওমেগা 6 এবং ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড। এছাড়া আখরোটে পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও ভালো পরিমাণে থাকে। আখরোট শুকনো ফল যা ফ্যাটি লিভার রোগের ঝুঁকি কমায়।