Intermittent Fasting: ওজন কমাতে যখন ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংই ভরসা, তখন এই ৫ ভুল ভুলেও করবেন না

Weight Loss Diet: চটজলদি ওজন কমাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ভীষণ জনপ্রিয়। এই ডায়েটে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দিনের যাবতীয় খাবার খেয়ে ফেলতে হয়। তারপর ১৪-১৬ ঘণ্টার উপোস। এতে যেমন ওজন কমে, তেমনই সুগার, কোলেস্টেরলও বশে থাকে।

Intermittent Fasting: ওজন কমাতে যখন ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংই ভরসা, তখন এই ৫ ভুল ভুলেও করবেন না
Follow Us:
| Updated on: Aug 30, 2024 | 12:26 PM

পুজোর আগে ওজন ঝরাতেই হবে—এমন প্রমিস অনেকেই নিজেকে করেছেন। সেই মতো জিমে যাওয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। আর ইন্টারনেট ঘেঁটে ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’-এর উপকারিতা জেনে গিয়েছেন। চটজলদি ওজন কমাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ভীষণ জনপ্রিয়। এই ডায়েটে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দিনের যাবতীয় খাবার খেয়ে ফেলতে হয়। তারপর ১৪-১৬ ঘণ্টার উপোস। এতে যেমন ওজন কমে, তেমনই সুগার, কোলেস্টেরলও বশে থাকে। কিন্তু ইন্টারনেটের উপর ভরসা করে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শুরু করলে মুশকিলে পড়বেন। এমন ৫টি বিষয় রয়েছে, যা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এ করলে ওজন কমবে এবং শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে।

১) ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ে খাবার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে খুব একটা বিধিনিষেধ থাকে না। তা বলে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াও চলবে না। এই ডায়েটে শাকসবজি, মাছ-মাংস, ফল, বাদাম, বীজ সবই রাখবেন। শুধু খেয়াল রাখুন, যে পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করছেন, সেই পরিমাণ ক্যালোরি পোড়াচ্ছেন কি না।

২) পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়েই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শুরু করা উচিত। ঠিক কত ঘণ্টা পর কতটা পরিমাণ খাবার খাওয়া দরকার তা আপনার ডায়েটিশিয়ানই বলতে পারবেন। এই তথ্য গুগল বা এআই দিতে পারবে না।

৩) একটানা কোনও ডায়েটই অনুসরণ করা উচিত নয়। অনেক সময় দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। আবার একটা সময়ের পর আর ওজন কমে না। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করার সময়ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখুন এবং প্রচুর পরিমাণে জল খান।

৪) ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ে শুধু ১৬ ঘণ্টা না খেয়ে থাকবেন। বাকি ৮ ঘণ্টা আপনাকে খাবার খেতে হবে। আর ৮ ঘণ্টায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাবার খেতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে অল্প অল্প খাবার খান। এতে হজম স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।

৫) ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ডায়েট করলে খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবারের সঠিক ভারসাম্য রাখা জরুরি। ওজন কমাতে গিয়ে দেহে পুষ্টির ঘাটতি হতে দেবেন না।