ঘুম থেকে উঠে আলস্য আসে অনেকেরই। ঘুম ভাঙলেও বিছানা ছাড়তে প্রায় ৪৫ মিনিট সময় চলে যায়। তারপরও কাজে মনে বসে না। তার ওপর এখন বসন্তের (Season Change) হাওয়া দিচ্ছি। এই পরিবর্তন ঋতুতে একটু বেশিই তন্দ্রা আসে। কোনও রকমের দিনের কাজ শেষ করলে দুপুরে ভাত খাওয়ার পরই ঢুলুনি আসে। তখন মনে হয় ছোট্ট করে একটা ভাত ঘুম দিয়ে দিই। এমন স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান থাকবে না তা তো হয় না। মর্নিং এনার্জি (Morning Energy) বাড়ানোর সহজ ও সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল যোগব্যায়াম (Yoga)।
ঘুম থেকে উঠে যদি নিয়মিত যোগব্যায়াম করেন তাহলে সারাদিনের আলসেমি কেটে যাবে এক নিমেষে। এর পাশাপাশি সকালে যোগব্যায়াম করার অনেক সুবিধা রয়েছে। এর প্রভাব আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও পড়ে। মন ভাল থাকলে সারাদিনের কাজেও এনার্জি পাওয়া যায়। মুড ফ্রেশ রাখতে দিনের শুরু হওয়া চাই একদম ভাল। তাছাড়া যোগব্যায়াম করলে শরীরও সক্রিয় থাকে। যারা ওয়ার্ক ফ্রম হোম মুডে আছেন এখনও তাঁদের অবশ্যই প্রতিদিন সকালে যোগব্যায়াম করা উচিত। কিন্তু মর্নিং এনার্জি পাওয়ার জন্য কোন কোন যোগব্যায়ামগুলো করবেন জানা আছে কি?
বালাসান
আপনার প্রজননে সাহায্যকারী অঙ্গগুলিকে নমনীয় করার পাশাপাশি আপনার পিঠ, কাঁধ এবং ঘাড়ের টান মুক্ত করতে সাহায্য করে এই ব্যায়াম। আলতো করে আপনার হাঁটু নীচের দিকে রাখুন। এবার আপান্র শ্রোণী গোড়ালির উপর রাখুন। পায়ের আঙ্গুলগুলি অন্যটির উপরে রাখবেন না, পরিবর্তে তাদের একে অপরের পাশে রাখুন। আপনার বাহুগুলি সামনের দিকে প্রসারিত করুন এবং আপনার কপাল নীচে রাখুন।
বীরভদ্রাসন
শরীরের গঠন থেকে শুরু করে শরীরের ব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করে এই আসন। প্রথমে দু-পা সোজা করে দাঁড়ান। এবার কোমর থেকে ডান দিকে ঘুরে যান। নিঃশ্বাস গ্রহণের সঙ্গে দুহাত মাথার উপরে তুলুন। এবার সামনের পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে পিছনের দিকে ঝুঁকুন এবং পিছনের পা যতটা সম্ভব পিছনে টেনে নিয়ে যাবেন। এই ভাবে ২০ সেকেন্ড থেকে আবার প্রথম অবস্থায় আসুন।
ধনুরাসন
মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি পেশি মজবুত করতে সাহায্য করে ধনুরাসন। উপুড় হয়ে শুয়ে পা দু’টি হাঁটুর কাছ থেকে ভাঁজ করে গোড়ালি দু’টি জোড়া ভাবে নিতম্বের কাছে আনুন। এ বার দু’ হাত দিয়ে পায়ের গোছা দু’টো বেশ শক্ত করে ধরে বুক এবং ঊরু মাটি থেকে ওপরের দিকে টেনে তুলুন। তলপেট মাটিতে ঠেকে থাকবে। এইভাবে ৩০ সেকেন্ড থাকুন।
গরুড়াসন
সােজা হয়ে দাঁড়ান। ডান হাত কনুইয়ের কাছে ভেঙ্গে বাঁ কনুইয়ের নিচে দিয়ে নিয়ে গিয়ে ডান হাতের তালু বাঁ হাতের তালুতে নমস্কারের ভঙ্গিতে রাখুন। এবার বাম পা মাটিতে রেখে ডান পা দিয়ে বাম পা উপরের ছবির মত পেঁচিয়ে ধরুন। এইভাবে ৩০ সেকেন্ড থাকুন।
ত্রিকোণাসন
দু’ পা হাত পরিমাণ ফাঁক করে সোজা হয়ে দাঁড়ান। দু’ হাত কাঁধ বরাবর তুলুন যাতে হাত দু’টি এক সরলেরখায় থাকে। এই অবস্থায় আস্তে আস্তে ডান দিকে ঝুঁকে ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করুন। বাঁ হাত ওপরের দিকে ওঠান যেন বাম হাত ডান হাতের সঙ্গে একই সরলেরখায় থাকে। এইভাবে ৩০ সেকেন্ড থাকুন।
আরও পড়ুন: মেনোপজের পরই ওজন বাড়তে শুরু করেছে? মেনে চলুন একটি ‘হেলদি লাইফস্টাইল’