অনিয়মিত জীবনযাপন, খাওয়া-দাওয়ার গণ্ডগোলের কারণে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটা চলতে থাকলে শুধু পেটে খারাপই নয়, ফুলে যাওয়া পেট নিয়ে শারীরিক অস্থিরতাও হতে পারে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে পেটের ফোলাভাব কমাবেন তার কিছু সহজ টোটকা রয়েছে।
অস্বাস্থ্যকর খাবার ও অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে হজমতন্ত্রের অতিরিক্ত বায়ু তৈরি হয়। যার কারণে পেটটি ফুলে বড় দেখায় ও অস্বস্তি তৈরি করে। খাবারের মাধ্যমে শরীরের বিতর অতিরিক্ত বায়ু প্রবেশ ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের কারণে এমন সমস্যা দেখা দেয় প্রায়শই। এর থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলতে হবে কিছু ঘরোয়া টিপস….
– যেকোনও খাদ্য গ্রহণের সময় ছোট ছোট টুকরো করে মুখের মধ্যে দিয়ে ভালো করে চিবিয়ে খাওয়াই রীতি। এতে হজমে কোনও সমস্যা দেখা দেয় না। তাড়াহুড়ো করে, না চিবিয়ে অনেকটা করে খাবার খেলে তার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বাতাস শরীরের প্রবেশ করে। এক্ষেত্রে হজমতন্ত্রের কাজ অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খেলেও এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ধীরে ধীরে কম পরিমাণে খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে অন্তত একবার চকোলেট খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে! জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
শরীরের জন্য কোন খাদ্যটি গুরুত্বপূর্ণ, কোনটি শরীরের জন্য সঠিক নয়, তার একটি তালিকা তৈরি করুন। বাত, দুধের মতো খাদ্যগ্রহণের পর যদি পেট ফুলে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় তাহলে সেই খাবার এড়িয়ে যাওয়া প্রয়োজন। দুগ্ধজাত খাবার খেলে অনেকেরই হজমে সমস্যা হয়। তাই দুধ ও দুধের জিনিস না খাওয়াই ভাল। এমনটা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পালন করলে স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি হয় না। কার্বোনেটেড পানীয়, চুইং গাম, ধূমপান, মদ্যপান করলে শরীরের ভিতর অতিরিক্ত বায়ু প্রবেশ করে। এর কারণে পেট বড় দেখায় ও ফুটে ওঠার প্রবণতা দেখা যায়। এইসমস্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়াই মঙ্গলের। সঙ্গে শারীরিক অনুশীলনেরও প্রয়োজন।
শরীরকে সুস্থ ও আদ্রতা বজায় রাখতে ঈষদুষ্ণু জল খেতে পারেন। ডিহাইড্রেশন দেখা দিলে পেট ফুলে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যায়। পেট ফোলা কমাতে ও তাজা রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। ঠান্ডা জল, গরম জল ও স্বাভাবিকজল- সব ধরনের জলই হজমতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।