পোল্যান্ডের জাতীয় অলিম্পিকস সাইক্লিং দলের প্রাক্তন সদস্য লেসজেক সিবিলিস্কি সাইকেল দিবস পালন করার হিসেবে বিশেষ অবদান রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণজনিত নানান সমস্যার প্রতি জনসচেতনতা প্রসার ও প্রচারের জন্য এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়।
অন্যদিকে, গত একবছরের বেশি সময় ধরে মারণভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে গোটা বিশ্ব। করোনার জেরে দুনিয়ার প্রায় সব দেশেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল, যা এখনও জারি রয়েছে। ফলে ঘরবন্দি মানুষের সক্রিয়তা অনেকাংশেই হ্রাস পেয়েছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। জার্মান বিজ্ঞানীদের নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়, সেখানে দেখা যায়, গত বছর করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে মানুষকে ৪০শতাংশ কম সক্রিয় করেছে। তাই নয়, হতাশাও গ্রাস করেছে তিনগুণ বেশি। শারীরিক ক্রিয়াকলাপের মাত্রা হ্রাস পাওয়া, মানসিক অসুস্থতা ওবেসিটি, গাঁটে ব্যাথা- এসবই মহামারীর মধ্যে আরও একটি সুপ্ত মহামারীর আশঙ্কা দেখছেন বিজ্ঞানীরা। এ বিষেয় ১৪টি দেশের ২০জন বিজ্ঞানী আগাম সতর্কবার্তা জানিয়েছেন।
অতিমারিতে সাইক্লিংয়ের সুবিধা
দীর্ঘদিন ধরে ঘরবন্দি থাকায় মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে ক্রমস ভেঙে পড়ছে। এই কঠিন সময়ে সাইকেল চালানোর সুবিধাগুলি একঝলকে দেখে নিন…
পেশির শক্তি বাড়াতে সক্ষম হয়
সাইক্লিং একটি দুর্দান্ত সামগ্রিক অনুশীলন। যা বাড়ির অভ্যন্তরে বহুদিন ধরে নিজেকে বদ্ধ করে রাখলে এই সময় সাইকেল চালানো প্রয়োজন। এই মুহুর্তে করোনাভাইরাসের পাশাপাশি গাঁটে ব্যথা, পেশিতে টান ধরা, পেশিতে ব্যাথা-সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা শুরু হয়েছে। এগুলি কাটাতে নিয়মিত সাইক্লিং করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত শিশুদের শরীরে বাসা বাঁধছে অন্য অসুখ! উদ্বেগ বাড়ছে শিশুবিশেষজ্ঞদের
শক্তি ও স্ট্যামিনা বৃদ্ধিতে সক্ষম
লকডাউনে ঘরবন্দি থাকার কারণে অধিকাংশেরই শারীরিক কসরত কম হওয়ায় তাঁদের শক্তি ও স্ট্যামিনার উপর সরাসরি প্রভাবিত করছে। এক্ষেত্রে সাইক্লিং একটি বিস্ময়করভাবে কাজ করতে পারে। সাইক্লিং করলে দেহের শক্তি ও স্ট্যামিনা বাড়ে। নিয়মিত অনুশীলনের ফলে রক্ত সঞ্চালনেরও উন্নতি ঘটে।
হৃদরোগের নানা সমস্যা দূর হয়
কোভিড আক্রান্তদের শারীরিক দিক থেকে উন্নতি ঘটাতে সাইক্লিং করা প্রয়োজন। বিশেষ করে হৃতপিণ্ডকে সুস্থ রাখা আবশ্যিক। তাই নিয়মিত অল্প অল্প করে সাইক্লিং করলে হৃতপিণ্ডের পেশি মজবুত ও রক্ত সঞ্চালনে উন্নতি ঘটে।
মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
লকডাউনের কারণে বহু মানুষ মানসিক সমস্যায় জর্জরিত। উদ্বেগ, আতঙ্ক, হতাশা, মানসিক চাপ-সহ বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় ভুগছেন বহু মানুষ। যা প্রতিদিনের কাজকর্মে এক বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে। পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে ও দৈনন্দিন কাজকর্মেও ব্যর্থ হচ্ছেন অনেকেই। এক্ষেত্রের সাইক্লিং জীবনকে স্বাভাবিক রাখতে ও ভারসাম্য বজায় রাখতে অনেকটা সহায়তা করবে। বাচ্চা থেকে প্রাপ্ত বয়স্কদের মানসিক চাপ থেকে বের করতে সাইক্লিংয়ের কোনও বিকল্প নেই।