গরমকালে সবার প্রিয় ফল আম। কাঁচা আমের চাটনি থেকে ভর্তা কিংবা পাকা আমের শাঁস দিয়ে জুস, কেক, সুস্বাদু স্মুদি-সবারই জানা। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলের কথা তো প্রায় অধিকাংশের জানা। কিন্তু এটা কি জানেন, এই জনপ্রিয় ফলের পাতায় রয়ছে অবিশ্বাস্যকর পুষ্টিগুণ।
আমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, এনজাইম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, খনিজ উপাদান। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে আম পাত ব্যবহারে কী কী রোগ নিরাময় হয়, তার বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। তবে আম পাতাও কোনও অংশে কম নয়। এতে রয়েছে উপকারী মেঞ্জিফিরিন। যা স্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
আম পাতায় কী কী গুণ রয়েছে, তা দেখে নিন একঝলকে…
১. অনেকেই বলেন ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা আম খাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য আমপাতা বেশ কার্যকরী। এতে রয়েছে ট্যানিনাস নাম অ্যান্থোসায়ানিডিন থাকে. যার ফলে রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। গরম জলে পাতা সেদ্ধ করে চায়ের মতো করে পান করুন। এছাড়া আমপাতা পরিস্কার করে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে জল ছেঁকে নিয়মিত পান করুন। শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য কচি আম পাতা খুবই উপকারী।
আরও পড়ুন: করোনাকালে শিশুর ইমিউনিটি বাড়ান এই ৫ আয়ুর্বেদিক টোটকায়
২. উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্যও আম পাতা বেশ উপকারী। এতে রয়েছে হাইপোট্যান্সিভ উপাদান। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে আমপাতা খেতে পারেন নিয়মিত।
৩. শ্বাসকষ্ট হলে বা যাঁদের খুব তাড়াতাড়ি ঠান্ডা লাগার প্রবণতা রয়েছে, হাঁপানি ও অ্যাজমায় ভোগেন, তাঁদের জন্যও আমপাতা ভীষণ কার্যকর। জলের মধ্যে আমপাতা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে তাতে মধু দিয়ে নিয়মিত খান। সর্দি-কাশির উপশমের জন্য যথেষ্ট উপকারী।
৪. স্ট্রেস কমাতেও আমপাতার গুণ রয়েছে। সবসময় যাঁরা নানারকম চিন্তা, উদ্বেগ, অস্থির অনুভব করেন, তাঁদের জন্য আমপাতার রস একদম পারফেক্ট দাওয়াই। স্নায়ুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে আপমাকে সতেজ করে তোলে। তার জন্য আমপাতাকে চায়ের মতো করে খান। উপকার মিলবেই।
আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্ট কমাতে ও কিডনির সমস্যা দূর করতে পাতে পড়ুক ডাঁটা!
৫. কিডনি স্টোন দূর করতেও সাহায্য করে আমপাতা। আমপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত পান করতে পারেন। এতে কিডনিতে স্টোনের প্রবণতা কমায়। শুধু তাই নয়, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা নিরাময়ের জন্যও আমপাতা উপকারী।
৬. মুখে দুর্গন্ধ দূর করতে আম পাতা চিবোতে পারেন। শুধু তাই নয়, দাঁতের মাড়ি ও দাঁতের যে কোনও সমস্যা হলে আম পাতার রস বা বাটা খেতে পারেন।