করোনাকালে শিশুর ইমিউনিটি বাড়ান এই ৫ আয়ুর্বেদিক টোটকায়

বর্তমানে সারা বিশ্বই করোনা অতিমারিতে বিধ্বস্ত। সংক্রমণের প্রথম তরঙ্গের তুলনায় দ্বিতীয় তরঙ্গের প্রভাব আছড়ে পড়েছে শিশুদের উপর।

করোনাকালে শিশুর ইমিউনিটি বাড়ান এই ৫ আয়ুর্বেদিক টোটকায়
আয়ুর্বেদিক টোটকা
Follow Us:
| Updated on: May 15, 2021 | 5:12 PM

প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উদ্বেগও। এই সময় তাদের শরীরের প্রতি বিশেষ নজর ও যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন হয়। প্রোটিন-যুক্ত খাবার, নিয়মিত অনুশীলন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এমন খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক ভেষজও খাওয়ান। যাতে শরীরের ইমিউনিটি বাড়ে, সুস্থ থাকে।

করোনা আক্রান্ত হওয়া শিশুদের শরীর সুস্থ রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কুমারভৃত্য নামক আয়ুর্বেদিক অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। শিশুর যদি হজমে সমস্যা হয়, পুষ্টি কম হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বিকাশে সমস্যা হয়, তার বজায় রাখার জন্য ভেষজ – আয়ুর্বেদিক অত্যন্ত উপকারী।

তুলসি

সব শিশুদের জন্যই তুলসী অত্যন্ত উপকারী। তুলসিতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ও ভিটামিন কে সমৃদ্ধ গুণ। শিশুর জ্বর কমাতে, সর্দি-কাশির মোক্ষম দাওয়াই হল তুলসির রস। এছাড়া হার্ট সুস্থ রাখতেও নিয়মিত তুলসি খাওয়া প্রয়োজন।

হলুদ

প্রত্যেক ভারতীয় বাড়িতেই হলুদের কদর রয়েছে। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরির বৈশিষ্ট্য। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট। হলুদ হৃদরোগের জন্যও ভাল। কার্ডিয়াক, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে হলুদের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত গুণ। ত্বকের কোথায় কেটে গেল বা ক্ষত হলে তা নিরাময় করার জন্য হলুদ লাগাতে বা খাওয়াতে পারেন।

অশ্বগন্ধা

এটি একটি প্রাচীন মহাষৌধি। শরীর তো বটেই, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও এই অতিপ্রয়োজনীয় আয়ুর্বেদিক খাওয়া প্রয়োজন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, পেশিতে শক্তি যোগান দেওয়া ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে অশ্বগন্ধা অত্যন্ত গুরুত্বের।

আমলা

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। প্রচণ্ড ঠান্ডা, কাশি, গলা ব্যথার দাওয়াই হিসেবে আমলা সাহায্য করে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েচে। স্বাস্থ্যকর চুল, ডায়াবেটিসের মোক্ষম দাওয়াই ও দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

গুলঞ্চ

এটিও প্রাচীন একটি মহাষৌধি। উচ্চ পুষ্টিগুণের জন্য এর ব্যবহার সর্বাধিক। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীর সুস্থ করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিইক্সিডেন্ট। এটি রক্তের মধ্যে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ও কাশি-জ্বর উপশম করতে সাহায্য করে।